দশমীর সকাল থেকেই চলে দেবী জগদ্ধাত্রীর বিসর্জনের প্রস্তুতি। কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রধান চাবিকাঠি এই শহরের ঐতিহ্য। মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র এই শহরে নবমীর দিন প্রধান পুজো হয়। সারা রাত ঠাকুর দেখার পর দশমী পড়তেই শুরু হয় ঘট ভাসানোর তোড়জোড়৷ আয়োজন করা হয় কার্নিভালের। এই কার্নিভালে দশমীর সকালে নামে মানুষের ঢল। পালা করে সব বারোয়ারি পুজোর ঘট ভাসানো হয়।
প্রতিটি বারোয়ারীর পুজোর ঘট ভাসানোর আগে বিশাল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এক একটি বারোয়ারী পুজো এক এক রকম ট্যাবলো, থিম নিয়ে এই কার্নিভালে অংশ নেয়। মডেলরা বিভিন্ন চিরিত্রে নিজেদের ফুটিয়ে তোলেন। কার্নিভালে অংশগ্রহণ করেন তাঁরা।
মহাসমারোহে ঢাক, ধামসা নানা লোক গীতি এবং বাজনা সহযোগে বারোয়ারী পুজোর ঘট ভাসান দেওয়া হয়। ঘট ভাসান দিয়ে ফিরে সন্ধে থেকে শুরু হয় সাঙে ভাসানের তোড়জোড়। কোনও লরি বা গাড়ি নয় কাঁধে করে নিয়ে বিসর্জন দেওয়া হয় দেবী জগদ্ধাত্রীর মূর্তি।