রবিবার ইউক্রেন(Ukraine) থেকে বাড়ি ফিরলেন আরও দুই বাঙালি ছাত্র। এখনও চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট বাঁকুড়ার(Bankura) সৌমাল্য, লেকটাউনের(Lake Town) সাহিলদের।
জানা গেছে, বছর দুয়েক আগে ইউক্রেনের খারকিভে(Kharkiv) ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পায় বাঁকুড়ার(Bankura) সৌমাল্য মুখোপাধ্য়ায়। কিন্তু আচমকাই ঘটে ছন্দপতন। রুশ সেনার হামলায় স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা নিয়েই ইউক্রেন থেকে পালাতে বাধ্য হয় সৌমাল্যের মতো হাজার হাজার ভারতীয় পড়ুয়া। ইউক্রেনের(Ukraine) অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে দেখে বাঁকুড়ার সৌমাল্য সহ বেশকিছু পড়ুয়া খারকিভ(kharkiv) থেকে পায়ে হেটে স্টেশেনে এসে পৌঁছায়। সেখান থেকে ট্রেনে করে ১৩০০ কিমি দূরে লভিভে(Lviv) আসে কোনওরকমে। এখান থেকে কার্যত এক প্রকার প্রাণ হাতে করেই গতকাল দিল্লির(New Delhi) বঙ্গভবন এবং তারপর কলকাতা(Kolkata) হয়ে বাঁকুড়া সৌমাল্য। সেই দলে ছিলেন বাংলার আরেক পড়ুয়া সাহিল সর্দার। নিউটাউনের(New Town) বাসিন্দা এই পড়ুয়া যুদ্ধ শুরুর পর আটকে পড়েন ইউক্রেনে। অনেক চেষ্টার পর কোনওমতে সীমান্ত পেরিয়ে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছায় সাহিল। সেখান থেকে দিল্লি বিমানবন্দর হয়ে রবিবার কলকাতায় ফিরে সে।
আরও পড়ুন- Russia-Ukraine War: ইউক্রেনের পাল্টা আঘাত, মাঝ আকাশে ধ্বংস হল রুশ হেলিকপ্টার
অন্যদিকে, এখনও কোনও খোঁজ নেই ইউক্রেনে আটক বাঙালি পড়ুয়া সুন্দর চক্রবর্তীর। ফলে তাঁর সোদপুরের(Sodepur) বাড়িতে উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সদস্যদের কথায়, হাঙ্গেরি(Hungary) সীমান্তে পৌঁছে সুন্দর সঙ্গে শেষবারের মতো যোগাযোগ করে তাঁদের সঙ্গে। কিন্তু তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ নেই এই বাঙালি পড়ুয়ার।