তাঁর লেখায় উঠে আসে মাঠের কথা, ধানের কথা, নদীর কথা। বাংলার তথাকথিত নিম্নবর্গের মানুষের বয়ান বুনে বুনে তৈরি হয় তাঁর গল্পের ভাষা। সেই লেখক হামিরুদ্দিন মিদ্যা তাঁর 'মাঠরাখা' গল্পগ্রন্থ'র জন্য ২০২৩ সালে 'সাহিত্য অকাদেমি যুব' পুরস্কারে সম্মানিত হলেন। তাঁর গল্পগ্রন্থে রয়েছে মোট ১৮টি গল্প। ২০২২ সালের কলকাতা বইমেলায় এই বইটি প্রকাশিত হয়। প্রকাশক 'সোপান'। মাত্র ২৬ বছর বয়সী এই লেখকের জন্ম বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার রূপপাল গ্রামে।
পেশার তাগিদে বিভিন্নরকম কাজ করতে হয়েছে হামিরুদ্দিনকে। কখনও পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছে। কখনও হাটে বিক্রি করেছেন মণিহারী সামগ্রী। বর্তমানে তিনি তাঁর গ্রামে কৃষিকাজ করেন।
বাংলা সাহিত্যে গ্রামীণ জীবনের ভাষ্য নতুন কিছু নয়। তা যুগের পর যুগ ধরে অতি সুচারুভাবেই করে গিয়েছেন অসংখ্য প্রতিভাবান সাহিত্যিকরা। কিন্তু, পেটের দায়ে কৃষিকাজ করা হতেই কলম তুলে নিয়ে সৃজনশীল সাহিত্যের সৃষ্টি- এমন নজির বিশেষ নেই। সেইদিক দিয়ে দেখতে গেলে বহু চালু ধারণাকেও ভেঙে দিয়েছে হামিরুদ্দিন মিদ্যার লেখা ও তাঁর এই সম্মান। এর আগে তাঁর 'আজরাইলের ডাক' গল্পগ্রন্থের জন্য 'ইলা চন্দ স্মৃতি পুরস্কার' ও 'সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় সম্মাননা' পেয়েছিলেন। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল সাহিত্য অকাদেমির এই সাম্প্রতিক পুরস্কারটিও।
সম্মানিত হল বাংলা সাহিত্যের একেবারে নতুন একটি দিগন্তও।