'ম্যাডামজি'। বহরমপুর হত্যাকাণ্ডে (Murshidabad Murder Case) প্রধান অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীর (Sushant Chowdhury) ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে বারবার এই নামই উঠে এসেছে। তদন্তকারী আধিকারিকদের মতে, এই নামেই সুতপাকে ডাকত অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে সব জায়গায় ম্যাডামজি-কে (Madamji) নিয়ে উঠে এসেছে ভুরিভুরি পোস্ট। জানা গিয়েছে, এই ফেসবুকেই সুতপাকে খুনের হুমকিও দেয় সুশান্ত।
ফেসবুকে সুশান্তের প্রোফাইল ইন্ট্রো-তে লেখা আছে, "এই বেওয়াফা তোর উপর একদিন অনেক ভারি পড়বে। এমন কী তোর জান পর্যন্ত যেতে পারে ম্যাডামজি।" বহরমপুরে ভর সন্ধেবেলা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার দৃশ্য সামনে আসে। তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর প্রোফাইল ইনফোতে সেই পোস্টও রীতিমতো ভাইরাল হয়। গত ৪৮ ঘণ্টায় তাঁর প্রোফাইলে এসে কমেন্ট করে গিয়েছেন অনেকেই। কমেন্টে এসে সুশান্তকে বিষোদগার করেছেন নেটিজেনরা।
আরও পড়ুন: রাতভর লকআপে পায়চারি, দু'দিন কাটলেও সুশান্তর সঙ্গে দেখা করতে এল না বাড়ির কেউ
পুলিশ সূত্রে খবর, গত পাঁচ বছর ধরে সম্পর্ক ছিল সুশান্ত ও সুতপার। এলাকার সুন্দরী মেয়ে হিসেবে পরিচিত ছিল সুতপা। কিন্তু গত এক বছর ধরে সেই সম্পর্কে ফাটল ধরে। সুশান্তকে এড়িয়ে যাওয়া শুরু করে সুতপা। সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। মনোমালিন্যের জেরে ৮ মাস আগে একবার বেশ কয়েকজন যুবককে সঙ্গে নিয়ে সুশান্ত মদ্যপ অবস্থায় সুতপার বাড়িতে হামলা করে বলে অভিযোগ।
এদিকে বুধবার সুশান্তকে জেরা করে নতুন নতুন তথ্য খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, বহরমপুরে তাঁর বান্ধবীই ছিল প্রধান সোর্স। তার মাধ্যমেই সব খবর পেত সে। ওই বান্ধবীর মাধ্যমেই সে জানতে পারে, বহরমপুরে অন্য একজনের সঙ্গে সিনেমা দেখতে গিয়েছে সুতপা। সেই খবর পেয়েই বহরমপুরে যায় সুশান্ত। ফোন করে নিচে ডেকে ভর সন্ধেবেলা কুপিয়ে খুন করে সুতপাকে।