বহরমপুরের রুটিমহল এলাকায় একটি মেসবাড়ি ভাড়া করে সেখানে থাকছিল সুশান্ত। ১৮ এপ্রিল থেকেই সেই মেসবাড়িতেই ছিল সে, জানা গিয়েছে এমনটাই। ২ মে বান্ধবী সুতপা চৌধুরীকে মেস থেকে ডেকে এনে তাঁকে প্রকাশ্য রাস্তায় ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে সুশান্তর বিরুদ্ধে। এই যুবকের দাবি, ‘প্রেমে প্রতারণা’ করেছিলেন সুতপা। হাতে উজিয়ে ধরা বন্দুক দেখে সুতপাকে বাঁচাতে এগিয়ে যেতে কেউ সাহস পায়নি। এদিকে মেধাবী সুশান্তর ‘নিখুঁত’ পরিকল্পনা দেখে রীতিমতো চমকে উঠছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের প্রাথমিক অনুমান ছিল বহরমপুরে কয়েকদিন আগে থেকেই এই ‘কাণ্ড’ ঘটনোর জন্য ছক কষছিল সুশান্ত।
তদন্তকারীদের দাবি, বুধবার রাতে জেরা পর্ব চলার সময় কিছুটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই বেশ কিছু নতুন তথ্য সামনে এনেছে সুশান্ত। সোমবার সন্ধ্যায় সুতপাকে খুন করেছিল সে। সুশান্ত জানিয়েছে, খুনের দিন কয়েক আগেই সে শহরে পা রেখেছিল। শনিবার সে আশ্রয় নেয় বহরমপুর শহরের একটি মেসে। মাঝে এক দিন কাটিয়ে সোমবার সন্ধ্যার সময়টাকেই ‘আসল’ কাজ সারার জন্য বেছে নেয় সে। সুতপাকে খুনের জন্য তৈরি হয়েই বহরমপুরের ওই মেসে ঢুকেছিল।