একসারিতে বসে ভাইফোঁটা নিচ্ছেন ভাইয়েরা । তাঁদের মধ্যে কেউ পুলিশ, কেউ আবার অনাথ আশ্রমের শিশু । কেউ চাকরির প্রয়োজনে বছরের পর বছর ফোঁটা নিতে পারেনি, কারও আবার পরিবারেরই ঠিকানা নেই । এমন ভাইয়েদের কথা ভেবে, তাঁদের মঙ্গল কামনায় ভাইফোঁটার আয়োজন করেছিল নাটাগড় ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশন । তাঁদের ফোঁটা দিলেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বোনেরা ।
চাকরির প্রয়োজনে কেউ বছরের পর বছর বাড়ি ফিরতে পারেনি, বোনের কাছে ফোঁটাও নেওয়া হয়নি । কারও আবার বোন নেই । ছোট ছোট ভাইগুলো জানেই না তাঁদের পরিবার কী ! ভাইফোঁটায় হয়তো
বোনেদের অভাব বোধ করেন তাঁরাও । কিন্তু, সেই অভাব পূর্ণ কিছুটা হলেও পূর্ণ হল ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে । 'সামাজিক দ্বায়বদ্ধতা'-র ভাইফোঁটায় উপস্থিত ছিলেন ঘোলা থানার পুলিশ আধিকারিক সহ ১০ জন পুলিশ কর্মী । এছাড়ও ছিল, পলতার এক অনাথ আশ্রম থেকে আগত ১৫ জন শিশু । তাঁদের মঙ্গল কামনা করে ফোঁটা দিলেন কোচবিহার, মালদা...রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বোনেরা ।
ঘোলা থানার পুলিশ আধিকারিক বিশ্ববন্ধু চট্টরাজ জানালেন, চাকরি জীবন ২৩ বছর পার হতে চলেছে ।২৩ বছরের মধ্যে ২২ বছর ভাইফোঁটায় অংশ নিতে পারেননি । তবে, নাটাগড় ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ২২ বছরের সেই অভাব পূর্ণ হল বলে জানাচ্ছেন তিনি । আশ্রমের এক আবাসিক শিশু জানালেন,এর আগে এধরনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পায়নি । তবে,এ বছর ভাইফোঁটার অনুষ্ঠানে এসে আপ্লুত তারা ।
নাটাগড় ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুজিত দে জানালেন, এই ভাইফোঁটার মাধ্যমে তাঁরা এক বার্তা দিতে চেয়েছে । তাঁরা বলতে চেয়েছেন, উৎসব সবার । তার কোনও জাতি-ধর্ম-বর্ণ হয় না । আর সেই উৎসবে থাকবে সবার ভালবাসা, সবার আন্তরিকতা । এই ভেবেই এমন ভাইফোঁটার আয়োজন করেছেন তাঁরা ।