একটা ঝাঁকুনি অনুভব করেছিলেন। কিন্তু সে মুহূর্তে পিছনে কী হচ্ছে, তা বুঝতে পারেননি। এমার্জেন্সি ব্রেক (Emergency Break) কষেছিলেন। ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার সময় ঠিক কী হয়েছিল, জানালেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের (Bikaner-Guwahati Express) লোকো পাইলট প্রদীপ কুমার।
ঘটনার পর ১২-১৩ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে ঘটনাস্থলেই আছেন পাইলট। দফায় দফায় প্রশ্নবাণে জর্জরিত হচ্ছেন। এসব সামলেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন তিনি। জানান, "সব সিগন্যালই সবুজ ছিল। অ্যাডভান্সড সিগন্যালের কাছে আমচকা একটা ঝাঁকুনি অনুভব করি। এমার্জেন্সি ব্রেক কষি। গাড়ি দাঁড় করিয়ে পিছনে দেখি। নেমে সেখানে গিয়ে দেখি, গাড়ি লাইনচ্যূত হয়ে গিয়েছে। যখন ঝাঁকুনি হয়েছিল, তখন বুঝতে পারি। কী কারণে হয়েছে, সেটা বলতে পারব না। তখন ট্রেন ৯৫-১০০ কিলোমিটার বেগে চলছিল।"
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী অশ্বীনী বৈষ্ণ। পরিদর্শন করেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ট্র্যাকশন মোটর আগে থেকে খোলা ছিল না কিনা, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। পুঙ্খানুপুঙ্খ জেরা করে ঘটনা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।