মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারিতেই কাজ। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই দার্জিলিঙে বনধ প্রত্যাহার। বুধবার বনধ স্থগিতের কথা ঘোষণা করলেন বিনয় তামাং। মঙ্গলবার পৃথক গোর্খাল্যান্ড-সহ একাধিক দাবিকে ফের উসকে দিয়ে বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছিল জিটিএ বিরোধীরা। বিনয় তামাং, অজয় এডওয়ার্ডদের ডাকা এই বনধের পাল্টায় মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি ছিল, রাজ্য কোনও বনধকে রেয়াত করবে না। রাজনৈতিক মহলের মতে, কড়া দাওয়াইতেই কাজে এল।
গত সোমবার রাজ্য বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আইন পাসে বাংলা ভাগের দাবি করেছিলেন কার্শিয়াঙের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ শর্মা। যদিও তাঁর দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী সেই দাবিতে সমর্থন করেননি। কিন্তু মঙ্গলবার বিষ্ণুর এই দাবিকেই হাতিয়ার করেন বিনয়, অজয়রা। পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে অনশন শুরু করে বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক শুরুর দিনেই দার্জিলিঙে ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকা হয়। এই সিদ্ধান্তের জেরে শুরু হয় সমালোচনা।
এরমধ্যেই শিলিগুড়ি গিয়ে বিনয়দের পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী। জনসভা থেকে মমতা জানান, বনধের দিন রাস্তা আটকালে দায় বনধ সমর্থকদেরই নিতে হবে। তিনি জানান, সরকার কোনও বনধকে রেয়াত করেনা। এমনকী, তাঁর সরকার দেখিয়ে দিয়েছে গত ১১ বছরে কীভাবে বনধ না করে রাজ্যের উন্নয়ন করা যায়। একইসঙ্গে তাঁর তোপ, পাহাড়ে কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা মাঝেমধ্যে জেগে ওঠে। যাঁরা উন্নয়ন সহ্য করতে পারেন না।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারিতে আগেই কার্যত চুপসে গিয়েছিল বিনয়দের আন্দোলন। বনধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে তা আরও প্রকট হল।