বীরভূম ইসলামবাজার ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র সৈয়দ সালাউদ্দিন (Saiyad Salah Uddin)খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ। অভিযুক্ত শেখ সলমনকে সোমবার ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়। ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের। সংগ্রহ করা হয় নমুনা। এদিন ঘটনার পুনর্নির্মাণের পরেই কোর্টে তুলে রিমান্ডে নেওয়া হবে মূল অভিযুক্তকে অভিযুক্তকে। সূত্রের খবর, এদিন কোর্টে তোলার সময় খুনের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত শেখ সলমন। বলে, খুনের অভিযোগ স্বীকার করে নিচ্ছি, টাকা পয়সার জন্য আমি একাই খুন করেছি।
এই বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত সলমন বাজার থেকে চড়া সুদে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা লোন নিয়েছিল। কিন্তু সময় মতো সেই লোন শোধ করতে পারছিল না। করের বোঝা বেড়ে যাওয়ার কারণেই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র সৈয়দ সালাউদ্দিনকে অপহরণের ফাঁদ পাতে সে। অপহরণের টাকা দিয়েই বাজারের দেনা মিটিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল অভিযুক্তের। কিন্তু সালাউদ্দিনের পরিবার অপহরণের টাকা না দিতে পারায় তাঁকে খুন করে ধৃত সলমন।
উল্লেখ্য, সালাউদ্দিনের বাড়ি বীরভূমের খয়রাশোল থানার আহমেদপুর গ্রামে। তাঁর পরিবারের দাবি, সালাউদ্দিন আসানসোলের একটি কলেজে পড়াশোনা করতেন। শনিবার সকালে তিনি বাড়িতে জানান, বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করবেন। এদিনই রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ সালাউদ্দিনের ফোন থেকে তাঁর বাবকে ফোন করা হয়। চাওয়া হয় ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ। ফোন পেয়ে রাতেই মল্লারপুর থানায় যোগাযোগ করেন পরিবার সদস্যরা। পুলিশের তরফ থেকে শুরু হয় খোঁজ। এরপরেই ইলামবাজার থানার চৌপাহারি জঙ্গল থেকে গলার নলি কাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সৈয়দ সালাউদ্দিনের দেহ। রবিবারেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শেখ সলমন পুলিশের জালে ধরা পড়ে।