৫০ মিটার দূরে মিসাইল পড়েছিল। পথে জ্ঞান হারিয়েছিলেন। কোমরে চোট পান। তারপর ৩৬ ঘণ্টা বাসে করে রোমানিয়া সীমান্তে পৌঁছন। অবশেষে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে দেশে ফিরলেন রাজ্যের ছাত্রী শবনম বেগম। বীরভূমের মারগ্রামের বাসিন্দা তিনি। ঘরের মেয়ে ঘরে ফেরায় খুশি শবনমের পরিবার।
এবছর ১৪ ফেব্রুয়ারি ডাক্তারি পড়তে ইউক্রেনের খারকিবে যান শবনম। কিন্তু যাওয়ার পরই নতুন দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন। শবনম জানালেন, "আমরা শুধু নির্দেশ পেয়েছি, এখানে ওখানে যেতে হবে। এভাবেই পুরো সফর কেটেছে। সকাল ৬টায় উঠে ১৫ কিলোমিটার হেঁটে বুগজাল। সেখান থেকে স্টেশন। ট্রেন ধরে লেভিবভি সীমান্তে পৌঁছে দেওয়া হল। এভাবে যাত্রা শুরু হয়েছিল।"
আরও পড়ুন: যুদ্ধে গুঁড়িয়ে যাওয়া ইউক্রেন থেকে বামা-মায়ের কাছে ফিরল ঝাড়গ্রামের তরুণ
সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা মনে করে শবনম বলেন, "এরপর যখন ওখান থেকে আমরা ট্রেন ধরতে পারলাম না, পায়ে হেঁটে পেসোচিন অবধি যাওয়া। কথা ছিল যুদ্ধবিরতি হবে। কিন্তু তা হয়নি। বোমাবর্ষণ ও গোলাগুলির মধ্যে দিয়ে ছুটে ছুটে পেসোচিনে পৌঁছতে হয়েছে। সেখানে সেফ প্যাসেজ পেয়েছি। ওখানে খাবার অ্যারেঞ্জ করা হয়েছিল। তারপর ভারতীয় দূতাবাসের সহযোগিতায় রোমানিয়া সীমান্তে আসি। ওখান থেকে দিল্লি এয়ারপোর্ট। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের লোকজন আমাদের রিসিভ করে।"