একদিকে দিলীপ ঘোষকে বাগে আনার চেষ্টা। অন্য়দিকে পোস্টারে ছবি থাকলেও হুগলিতে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মিছিলে নেই সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বঙ্গ বিজেপির কার্যত এই অবস্থার মধ্য়ে মঙ্গলবার রাতে কলকাতায় আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা। বিমানবন্দরে নাড্ডাকে আনতে যাবেন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ও সাংসদ দিলীপ ঘোষ। ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে প্রায় একবছর পর বাংলায় আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
বুধবার মূলত হুগলিতেই ব্য়স্ত থাকছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। সূচি অনুযায়ী, বেলা সোয়া এগারোটা নাগাদ তিনি যাবেন চূঁচড়ায়। সেখান থেকে যাবেন চন্দননগরে। বেলা তিনটের সময় রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন তিনি। ক্লোজডোর হবে এই বৈঠক। রাজনৈতিক মহলের দাবি, এই বৈঠকেই রাজ্য় বিজেপির শীর্ষ নেতাদের কড়া বার্তা দিতে পারেন নাড্ডা।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে যাবেন বেলুড়। তারপর একে একে সাংসদ, বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক। এই বৈঠক হবে নিউটাউনের এক পাঁচতারা হোটেলে। সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামের কর্মিসভা করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। কলামন্দিরে নাগারকির সম্মেলন করে তিনি ফিরে যাবেন দিল্লিতে।
এক বছর আগেও বাংলা হয়ে গিয়েছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির অন্য়তম গন্তব্যের জায়গায়। প্রায় একদিন ছাড়া ছাড়া বাংলায় আসতেন জে পি নাড্ডা। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ডায়মন্ড হারবারে তাঁর কনভয়ে ঢিল পড়ার অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু ২০২১ সালে দোসরা মে ফল প্রকাশ হতেই ছবিটা বদলে গিয়েছিল। গত কয়েকদিন আগে প্রায় বছর আগে আগে বাংলায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সুকান্ত-শুভেন্দুকে অনেক কথাই বলে গিয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি নীচুতলার কর্মীদের তাঁর বার্তা ছিল, মমতার মতো পরিশ্রম করতে হবে।
অমিত শাহ দিল্লি ফিরে গিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের দাবি, বঙ্গ বিজেপি সেই তিমিরেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে আসছেন জে পি নাড্ডা। গত কয়েকদিন আগে দিল্লিতে গিয়ে তাঁর কাছেই বিদ্রোহ দেখিয়ে এসেছিলেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া সাংসদ অর্জুন সিং। এমনকী, তাঁর চিঠি পাওয়ার পরেও এখনও অনর্গল দিলীপ ঘোষও। সেই নাড্ডা বঙ্গ বিজেপিকে চাঙ্গা করতে কী বার্তা দেবেন, সেই অপেক্ষায় এখন রাজনৈতিক মহল। কারণ পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে তো।