শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূল বিধায়ক পরেশ অধিকারীর। এবার সেই পরেশের এলাকা মেখলিগঞ্জের সরকারি দফতরে গভীর রাতেও আলো জ্বলতে দেখে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। চোর ঢুকেছে? নাকি সরকারি কোনও নথি সরিয়ে ফেলার কাজ চলছে? কিছুক্ষণের মধ্যেই অফিসের গেট আটকে চলে বিক্ষোভ। খবর যায় থানায়। পুলিশ এসে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে কোনওক্রমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুক্রবার মধ্যরাতের এই ঘটনায় যদিও কোনও মন্তব্য করতে চাননি খাদ্য দফতরের আধিকারিক।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শুক্রবার রাত ১২ টা নাগাদ অফিসে আলো জ্বলতে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রতিদিনের মতো শুক্রবারও বিকেলের দিকেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অফিস। এরপর রাত ১২ টা নাগাদ দেখা যায় ভিতরে আলো জ্বলছে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই অফিসের সামনে হাজির হন এলাকার বিজেপি নেতারা। বিজেপি নেতা আশেকার রহমান, ঝুমুর আলি ফকিরদের দাবি, কোনও গোপন কাজ চলছে ভিতরে। এরপর বিক্ষোভ দেখান বেশ কয়েকজন। আটকে দেওয়া হয় অফিসের গেট। খবর দেওয়া হয় মেখলিগঞ্জ থানায়।
বিজেপি নেতা আশেকার রহমানের দাবি, সাধারণ মানুষের কাজের সময় অনেক ক্ষেত্রেই আধিকারিকদের দেখা পাওয়া যায় না। অথচ রাতে অফিসে হাজির অফিসাররা। তাঁরা উল্লেখ করেন, বাম আমলে খাদ্য দফতরের মন্ত্রী ছিলেন পরেশ অধিকারী। সেই সময় অনেক ভুয়ো রেশন কার্ড তৈরি হয়েছিল বলে দাবি বিজেপি নেতাদের। তাই তাঁর আমলের গোপন নথি সরানোর কাজ চলছিল বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতারা। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।