অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় কি কোনও চাকরি দিতে পারেন ? রাজ্য রাজনীতিতে এবার প্রশ্ন বিরোধীদের। শুক্রবার স্কুল সার্ভিসে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন তৃণমূল সাংসদ এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিও দাবি করেছেন বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে। তারপরেই একযোগে চাকরি নিয়ে অভিষেকের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন বিরোধীদের। কারণ, অভিষেক কোনও সরকারি পদে নেই। চাকরির আশ্বাস দিতে পারে সরকার। বিরোধীদের এই প্রশ্নকে আমল দিতে চায়নি শাসক তৃণমূল। তৃণমূলের পক্ষে পাল্টা জানানো হয়েছে, অভিষেকের সঙ্গে ওই বৈঠকে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য় বসু। তিনি সরকারের প্রতিনিধি।
এই বৈঠকের পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, সরকার এবং দলের মধ্যে যে একটা পার্থক্য রয়েছে, সেটাই তৃণমূল মানে না। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও তা মানেন না। তাঁর দলও নয়। আসলে এটা আন্দোলন ভাঙার চেষ্টা। আর শিক্ষামন্ত্রীও দলীয় দফতরে বসে চাকরির আশ্বাস দিতে পারেন না। কার্যত একই সুর সিপিএমের রাজ্য় সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের গলায়। তাঁর অভিযোগ, অসংবিধানিক বিষয়কে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়াই তৃণমূলের কাজ! অতীতেও এমন কাজ হয়েছে। নিয়োগ সংক্রান্ত আলোচনা দলীয় দফতরে হয়েছিল বলেই তো এত বড় দুর্নীতি হয়েছে। বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরেও চাকরি বিলি হয়েছে। সেই রীতিই বহন করছেন বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী। ব্রাত্যর উপস্থিতিতে এই বৈঠকে কোনও ভুল নেই বলেই পাল্টা দাবি করেছেন তৃণমূলের আর এক সাংসদ সৌগত রায়।
শুক্রবার নিজের দফতরে ডেকে, স্কুল সার্ভিসে চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বৈঠক শেষে চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধির দাবি, ২০১৬ সালের এসএলএসটির প্রথম তালিকাভুক্ত সকলকে চাকরি দেওয়ার ১০০ শতাংশ চেষ্টা করবেন বলে বৈঠকে জানিয়েছেন অভিষেক। সেই সঙ্গে আগামী ৮ অগস্ট শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠকের ব্যবস্থাও করেছেন। আইনি জটিলতা কাটিয়ে যত দ্রুত সম্ভব নিয়োগের ব্যবস্থা করার পরিপূর্ণ আশ্বাসও দিয়েছেন।