হাঁসখালি কাণ্ডের(Hanskhali Rape Case) প্রতিবাদে বিজেপির(BJP) ডাকা বন্ধে শুনশান রাস্তাঘাট। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট, রাস্তায় লোকজনও প্রায় নেই বললেই চলে। আজ, সোমবার হাঁসখালি গণধর্ষণে(Haskhali Rape Case) মৃত কিশোরীর বাড়ি যাবেন বিজেপির মহিলা মোর্চার এক প্রতিনিধি দল। থাকবেন এলাকার বিধায়ক আশিস বিশ্বাসও। এর পাশাপাশি সোমবার দিনভর নানা কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির। সোমবারই হাঁসখালি বাম প্রতিনিধি দল(Left Front)। এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি তাঁরা কথা বলবেন নির্যাতিতার পরিজনদের সঙ্গে।
গত সোমবার নদিয়ার হাঁসখালির(Hanskhali) গ্যাড়াপোতা এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে ব্রজগোপাল গোয়ালার জন্মদিন ছিল। সেখানে নিমন্ত্রিত ছিল মৃতা অর্থাৎ যুবকের প্রেমিকা। স্বাভাবিকভাবেই নাবালিকা গিয়েছিল সেখানে। অনেক রাতে অপরিচিত এক মহিলা নাবালিকাকে বাড়িতে দিয়ে আসে। সেই সময় যথেষ্ট অসুস্থ ছিল ওই নাবালিকা। রাতে শুরু হয় অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ। ভোরের দিকে নাবালিকার জন্য স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে ওষুধ আনতে যান পরিবারের সদস্যরা। ফিরে এসে দেখেন নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ, বিষয়টি জানাজানি হতেই নির্যাতিতার বাড়ি এসে হুমকি দেয় তৃণমূল নেতা(TMC Leader) সমর গোয়ালার দলবল। তাই ভয়ে এলাকার বিশেষ কাউকে কিছু জানায়নি পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার ভোরেই কার্যত নিঃশব্দে শ্মশানে দাহ করা হয় নাবালিকার দেহ। এমনকি নিহত কিশোরীর মায়ের দাবি, থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও তা নেওয়া হয়নি।
এরপর ঘটনা জানাজানি হতেই চাইল্ড লাইনে(Child Line)) খবর যায়। তাঁদের সহযোগিতায় আবার শনিবার হাঁসখালি থানায়(Hanskhali police Station) যান মৃতার বাড়ির সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, জন্মদিনের পার্টির নামে ডেকে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে প্রেমিক ব্রজগোপাল গোয়ালা অর্থাৎ তৃণমূলের(TMC) পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে। এরপর মৃতার পরিবারকে ভয়ও দেখানো হয় বলে অভিযোগ। সেই কারণেই পুলিশে খবর না দিয়ে নাবালিকার দেহ দাহ করে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতার ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকেই উধাও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা(TMC Leader) এবং পরিবারের বাকি সদস্যরা।