চোপড়ার ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি । এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । ঘটনায় রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি । অন্যদিকে, কোচবিহার ও চোপড়ার ঘটনার প্রতিবাদে বিধানসভা চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছে বিজেপি । সোমবার সকাল থেকেই বিধানসভা চত্বরে অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে ধর্নায় বসেছেন বিজেপির মহিলা বিধায়করা । হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে শুরু হয়েছে অবস্থান কর্মসূচি ।
কোচবিহারের ঘটনায় বিধানসভায় বিক্ষোভ অবস্থানের কথা আগেই জানানো হয়েছিল বিজেপির তরফে । তবে, ধর্নার অনুমতি মেলেনি । তাই, সোমবার সকালে বিধানসভার গাড়ি বারান্দার সামনে বিক্ষোভে বসেন অগ্নিমিত্রা পাল, শিখা চট্টোপাধ্যায়, চন্দনা বাউড়িরা । তাঁদের হাতে দেখা গেল প্ল্যাকার্ড । প্ল্যাকার্ডে কোচবিহারের ঘটনার উল্লেখ করে নারী নির্যাতনকারীদের শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা । সেইসঙ্গে ২০১১-র পর থেকে কতজন নারী নির্যাতনকারীর শাস্তি হয়েছে, তার জবাবও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চেয়েছেন তাঁরা ।
উল্লেখ্য, কোচবিহারে বিজেপির সংখ্যালঘু নেত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে । ঘটনার পর থেকে শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির । অন্যদিকে, চোপড়ায় যুবক ও যুবতিকে রাস্তায় ফেলে মারধরের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি । জানা গিয়েছে,যে যুবতিকে মারধর করা হয়েছে তিনি বিবাহিতা। অভিযোগ ওঠে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি । এবং ওই একই কারণে এক যুবককেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ । ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তাজমুল ওরফে জেসিবিকে গ্রেফতার করে পুলিশ । জানা গিয়েছে, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের খবর জানাজানি হতেই সালিশি সভা ডাকে জেসিবি। আর ওই সভাতেই ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ । ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় । যদিও, সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এডিটরজি বাংলা ।