শখ ছিল গরু গাড়িতে মাকে তুলে বিদায় জানানো হবে। তাতে বাংলার ঐতিহ্য ধরা পড়বে। আবার গ্রাম বাংলার সাবেকিয়ানার ছবিও ফুটে উঠবে। কিন্তু এই শখ, এই ভাবনা এবার রায়গঞ্জকে রক্তাক্ত করল। শুক্রবার রাতে দুর্গাপুজো কার্নিভালে রাস্তায় বেলাগাম হল দুই গরু। আর তাতে ভণ্ডুল হয়ে গেল কার্নিভালে যাবতীয় আয়োজন। গরুর হামলায় এই ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম অনেকে। যদিও জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মীনার দাবি, জখম হয়েছেন আট জন। তাঁদের বেশিরভাগ প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল শুক্রবারের রাতে। রায়গঞ্জের মূল রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল বিভিন্ন ক্লাবের ঠাকুর। তারমধ্যেই ছিল অনুশীলনী নামে এক ক্লাবের ঠাকুর। তাদেরই ভাবনায় ছিল গরুর গাড়িতে ভাসান। খানিক দূর যাওয়ার পরে হঠাৎ করেই একটি গরু অবাধ্য হয়ে ওঠে। গাড়ি সমতে রাস্তার দু ধারে দাড়িয়ে থাকা দর্শকদের দিকে তেড়ে যায়। সেইসময় তাকে বাগে আনা গেলেও, কিছুক্ষণের মধ্যে গাড়ি ছেড়ে রাস্তায় দাপাদাপি শুরু করে।
প্রথমেই উল্টে যান মা দুর্গা। গরুর দাপটে তখন থমকে যান সবাই। এরমধ্যে আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন স্থানীয় ভারত সেবক সমাজ ক্লাবের সভাপতি সাধন কর্মকারা। রাতে তাঁর হাসপাতালে মৃত্য়ু হয়। প্রায় আধঘণ্টা ধরে চলে এই তাণ্ডব। এই ঘটনার পরেই প্রশ্ন উঠছে, কার নির্দেশে এমন শিল্প ভাবনা। যেখানে গত বৃহস্পতিবার মখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী পই পই করে জানান, এমন কিছু না হতে, যা দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তারপরেও রায়গঞ্জের কার্নিভালে দুর্ঘটনা ঘটে গেল। জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মীনার আশ্বাস, এই ঘটনার তদন্ত হবে।