রাজ্যে এল মণিপুরের ধসে নিহত ১০ জওয়ানের দেহ। শনিবার সকালে বাগডোগরার সেনা ছাউনিতে কফিন বন্দি দেহ আনা হয়। সেখানেই তাঁদের শেষ শ্রদ্ধা জানানো। পূর্ণ মর্যাদায় শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে পরিবারের হাতে। গত বৃহস্পতিবার মণিপুরের ধসে মৃত্যু হয়েছিল বাংলার ১০ জওয়ানের। তাঁরা সবাই উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা। এরমধ্যে ৯ জনের বাড়ি দার্জিলিং। এবং একজন থাকতেন জলপাইগুড়িতে। এছাড়াও এদিন বাগডোগরায় আনা হয় সিকিমের বাসিন্দা শেরিং লেপচার দেহ।
গত বৃহস্পতিবার টুপুল রেল স্টেশনের কাছে ধস নামে। সেখানেই ১০৭ টেরিটোরিয়াল আর্মির ক্যাম্প ছিল। খবর পেয়ে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রের তরফে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়।
রাজ্য়ে ইতিহাসের এই ধসের ঘটনাকে সবচেয়ে খারাপ ঘটনা বলেই উল্লেখ করেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। ঘটনাস্থল ঘুরে বীরেন জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ৮১ জনকে তাঁরা হারিয়েছেন। যাঁদের মধ্য়ে ১৮ জন টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ান। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, প্রায় ৫৫ জন এখনও ধ্বংসস্তুপে আটকে রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধারে আরও দু থেকে তিন দিন সময় লাগবে। মুখ্য়মন্ত্রীর দাবিতে স্পষ্ট এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যাবে।
শুক্রবারই রাজ্যের জওয়ানদের নিহত হওয়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্ধারের কাজে ইতিমধ্যেই সেনা নামানো হয়েছে।