পারিবারিক বিবাদের জেরেই খুন করা হয় শান্তিনিকেতনের মোল্লাপাড়ার পাঁচ বছরের শিশু শুভম ঠাকুরকে। প্রাথমিক তদন্তে এই দাবি পুলিশের। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রথমে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য চট দিয়ে দেহ মুড়ে ফেলা হয়েছিল। তারপর তা তুলে রাখা হয়েছিল ছাদে। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে আরও একজনকে।
গত রবিবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে সামনের দোকানে বিস্কুট কিনতে গিয়েছিল পাঁচ বছরের শুভম। তারপর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় সে। মঙ্গলবার তারই এক পড়শি ছাদ থেকে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ইটের দেওয়াল এবং অ্যাসবেস্টসের ছাউনি দিয়ে তৈরি ওই বাড়ির চালে উঠে উদ্ধার করে শিশুটির দেহ। দেখা যায়, অ্যাসবেস্টসের ছাদে বস্তাবন্দি অবস্থায় রয়েছে শুভমের দেহ। বস্তার আবরণ সরিয়ে উদ্ধার করা হয় ওই মৃতদেহ। তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, প্রতিবেশী ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আটক করা হয়েছে ওই মহিলার মাকেও।
পেশায় ক্ষৌরকার শম্ভু ঠাকুর। কাজের জন্য বেশির ভাগ সময় দোকানেই থাকতে হয় তাঁকে। তাঁর সেলুনেই কাজ করেন হাবুল বাউড়ি। এই হাবুলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল শম্ভুর প্রতিবেশী ওই মহিলার। এ নিয়ে শম্ভু এবং ওই মহিলার পরিবারের মধ্যে মাস ছয়েক আগে অশান্তিও হয় বলেও খবর। ওই মহিলা হাবুলকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। কিন্তু সেই বিয়েতে আপত্তি ছিল শম্ভুর। সেই কারণে, এই বিয়ে হয়নি। উলটে শম্ভুর প্রতিবেশীর অভিযোগের ভিত্তিতে গত ছয় মাস জেলে রয়েছেন হাবুল। স্থানীয়দের অনুমান, তখন থেকেই শম্ভুর পরিবারের উপর আক্রোশ তৈরি হয় ওই মহিলার। সে কারণেই তিনি শুভমকে খুন করেন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, গত রবিবার থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত পুলিশের ছটি দল পাঁচ বছরের শুভমকে খুঁজতে এলাকায় তল্লাশি চালায়। এদিন সকালে মোল্লাপাড়ায় নিয়ে যাওয়া হয় স্নিফার ডগও। তারপর পড়শি বাড়ির ছাদ থেকে ছোট্ট ছেলেটার দেহ উদ্ধার করা হয়।