বাবা মা গিয়েছিলেন বিয়ে বাড়ি, বাড়িতে ঠাকুমার সঙ্গেই ছিলেন রায়গঞ্জের উকিল পাড়ার বাসিন্দা অভীক। কিন্তু ফিরে ছেলেকে আর দেখা হল না অভীকের বাবা মায়ের। দরজা ছিল ভিতর থেকে বন্ধ, বাড়ি ফিরে ছেলেকে অনেক ডাকাডাকির পরেও সাড়াশব্দ পাননি তার বাবা মা। পরে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই তার জড়ানো অবস্থায় উদ্ধার হয় ছাত্রের মৃতদেহ। মৃত অভীক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র৷
অভীকের বাবা অশোক দাস রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের অধ্যাপক, মা শিক্ষিকা। অভীকেরও আগ্রহ ছিল লেখাপড়ায়৷ বাবা অশোক দাস জানান, দরজা ভেঙে ঢোকার পর তার জড়ানো অবস্থায় অভীকের দেহ মেলে। ইতিমধ্যেই দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য, পুলিশ তদন্তে নেমে খতিয়ে দেখছে মৃত্যুর কারণ।
প্রতিবেশীদের কথায়, বিজ্ঞান নিয়ে নানা রকমের গবেষণার ঝোঁক বরাবরই ছিল অভীকের। অভীকের বাবা অশোক বাবুও জানান, এর আগেও বিদ্যুৎ, আগুন নিয়ে একাধিক পরীক্ষা চালিয়েছিল অভীক। সম্প্রতি অভিক পড়ছিল পদার্থ বিদ্যার ইলেক্ট্রিসিটি চ্যাপ্টার। তার দেহে বুকের দুদিকে দুটি পোড়া দাগ পাওয়া যায়, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান নিজের বুকের দুদিকে ইলেকট্রনিক তার দিয়ে কোনও পরীক্ষা করতে গিয়েই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় অভীকের৷