রাজ্যের স্কুলে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর। পুজোর আগেই রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে ২১ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করতে চলেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। সোমবার দফতরের সঙ্গে বৈঠকের পর একথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মূলত, উচ্চ প্রাথমিক, প্রাথমিক, নবম-দ্বাদশ শ্রেণির প্রধান শিক্ষক ও সহ শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করতে চলেছে রাজ্য।
গত কয়েকদিন ধরেই স্কুল সার্ভিসে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। চাপ বাড়িয়েছে বিরোধীরাও। এই পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার ক্যামাক স্ট্রিটে এসএসসির চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তৃৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে তাদের চাকরির আশ্বাস দেন অভিষেক। বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন, কোন এক্তিয়ারে অভিষেক সরকারি চাকরির আশ্বাস দিচ্ছেন। জবাবে তৃণমূল পাল্টা জানায়, অভিষেকে সঙ্গে ওই বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজনৈতিক মহলের দাবি মূলত ব্রাত্যের সঙ্গে পরামর্শ করেই স্কুল সার্ভিসে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সরকারি চাকরির আশ্বাস দিয়েছেন অভিষেক। এমন কী অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক শেষে আলোচনাকে ইতিবাচক বলেই দাবি করেছিলেন আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কলকাতার নামী পুজোয় এবারেও চার মহিলা পুরোহিত! হয়ে গেল খুঁটি পুজো
এই পরিস্থিতিতে সোমবার স্কুল শিক্ষা দফতরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ব্রাত্য। তিনি জানান, নতুন করে ২১ হাজার শিক্ষক কীভাবে নিয়োগ করা যাবে, তাই নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে। এই ব্যাপারে প্রক্রিয়া খুব দ্রুত শুরু হবে বলেই আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি জানান, নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়মের ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে। সেই নিয়মগুলি তাঁরা আইন দফতরের কাছে পাঠিয়েছেন। গত ২৯ জুলাই কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে কত শিক্ষকপদ শূন্য রয়েছে, তার হিসেব দিয়েছে রাজ্য। আদালতকে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, নবম-দশম শ্রেণিতে প্রায় ১৪ হাজার, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে সাড়ে ৫ হাজার এবং ২,৩২৫টি প্রধান শিক্ষকের পদ রাজ্যে শূন্য রয়েছে। সব মিলিয়ে ধরলে, সেই ২১ হাজার শূন্যপদের কথাই এদিন সরকারি ভাবে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।