গোটা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মানুষেরও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের (Nirmala Sitharaman) কাছে এ বছরের বাজেটে (Budget 2022) প্রত্যাশা ছিল। কতটা প্রত্যাশা পূরণ হল, তা জানব বাংলার মানুষের কাছে। একটি ছোট্ট ইন্টিরয়র কম্পানির মালিক অনুরূপা। কেমন লাগল তাঁর এই বাজেট, জানালেন এডিটরজি বাংলার (Editorji Bangla) নিউজ এডিটর দেবযানী চৌবেকে ।
প্রশ্ন: অনুরূপা, বাজেট দেখলে, কী বলবে?
অনুরূপা: খুব যে একটা বিশাল পরিবর্তন হয়েছে, তা কিন্তু নয়। আমাদের যেহেতু ইন্টিরিয়র ডিজাইনিং ফার্ম। গত ২ বছরে, অর্থাৎ ২০২০-২১-এ এত লসের সম্মুখীন হয়েছি, প্রজেক্ট চলতে চলতে বন্ধ হয়ে গেছে। যেহেতু আমাদের মানুষের বাড়িতে গিয়ে কাজ মূলত। এখন আমরা কারও বাড়িতে গিয়ে কাজ করে উঠতে পারছি না। ফলে আমাদের অনেক কাজ যেগুলো চলছিল, সেগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে। শ্রমিকরা ভীষণভাবে সাফার করছে। ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের কাজটা যেহেতু শ্রমিক-নির্ভর, শ্রমিকরা যদি ভালো না থাকে, তাদের যদি দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মান উন্নত না হয়, আমাদের পক্ষে একটা কম্পানিকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া খুব কঠিন হয়ে যায়।
প্রশ্ন: একটা কথা, আমি তোমাকে একটু ইন্টারপ্ট করলাম...এখানে কিন্তু বলা হয়েছে যারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, তাদের সরকার লোনের কথা বলেছে। তাদের সুবিধার্থে, যেহেতু দীর্ঘদিন কাজের ওপর একটা প্রভাব পড়েছে। মানে অনেকটা ব্যবসার দিক থেকে যদি আমরা দেখি, তাহলে আর্থিক ক্ষতি অনেক মানুষের হয়েছে।
অনুরূপা: লোন তো একটা সমাধান হতে পারে না। লোন একটা পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য সহায়ক হতে পারে। কিন্তু এটা সমাধান নয়। লোনটা নিয়ে যদি আমরা কাজটাই না করতে পারি, কারণ কাজ তো নেই। মানুষের বাড়িতে গিয়ে আমরা কাজ করতে পারছি না। একটা মানুষ সুস্থ হতে না হতেই আবার তার সেকেন্ড ওয়েভ, থার্ড ওয়েভও আসবে শুনছি। এমতাবস্থায় লোন নিয়ে আমরা কী করব! এটা তো সমাধান নয়। শুনছি হীরের গয়নার দাম কমে গেছে। সেখানে ব্যাপার হচ্ছে, আমার কাছে পয়সা বাঁচবে প্রোজেক্ট করে, তারপর তো আমি যাব হীরের গয়না কিনতে। আজ এখানে রোজকার দিনের চাল, ভাত, ডাল কোনও কিছুরই দাম কমছে না। একটা সাধারণ মানুষ খেতে পাচ্ছে না। সেখানে হীরের গয়নার দাম কমে কী লাভটা হল আমি তো বুঝতে পারছি না। কারণ, প্রত্যেকটা মানুষেরই একই, এখন হবে না পরে। যা বাজারের দাম বেশি।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে টেলি মেন্টাল হেলথ সেন্টারের প্রস্তাব