নদীয়ার হাঁসখালি কাণ্ডে (Hanskhali Rape Case) নির্যাতিতার পরিবার এবং সাক্ষীদের নিরাপত্তার যাবতীয় ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যকে। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের ২০১৮ সালের 'সাক্ষী নিরাপত্তা স্কিম' দ্রুত কার্যকর করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আদালতের নির্দেশ, ২০১৮ সালে যে “সাক্ষী নিরাপত্তা স্কীম”-এর নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট অবিলম্বে তা কার্যকর করতে হবে পশ্চিমবঙ্গেও। যতদিন না সেটা হচ্ছে ততদিন রাজ্য সরকারকেই ওই পরিবার ও সাক্ষীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে (Hanskhali Rape)। তাঁদের কিছু ক্ষতি হলে দায় নিতে হবে রাজ্য সরকারকে।
এখানেই শেষ নয়, হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার বলেছে, হাঁসখালি কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য সরকারকে। তাঁরা যাতে মানসিকভাবে সুস্থ থাকেন, সেদিকেও কড়া নজর রাখতে হবে।
জনস্বার্থ মামলাকারী অনিন্দ্যসুন্দর দাসের আইনজীবী বলেন, হাঁসখালি-কাণ্ডের সাক্ষী এবং নিহত নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন। আমেরিকার আইনের উদাহরণ টেনে এনে তিনি সওয়াল করেছিলেন যে, শুধুই পুলিশি সুরক্ষা দেওয়া নয়, সাক্ষীদের পরিচয়ও গোপন রাখাও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার মধ্যে পড়ে। তাই নির্যাতিতার পরিবারের সদস্য এবং ঘটনার সাক্ষীদের নাম, পারিবারিক পরিচয়, পেশা, ঠিকানা সব কিছু গোপন রাখার প্রয়োজন।