অবশেষে কলকাতা হাই কোর্টে শিক্ষক নিয়োগের জট কাটল। উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য চার সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তার পরের চার সপ্তাহের মধ্যে কাউন্সেলিং করতে হবে। স্কুল সার্ভিস কমিশনকে এমনটাই নির্দেশ দিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। নয়া নির্দেশের ফলে ফলে সাত বছরের নিয়োগ-জট কাটল।
২০১৫ সাল থেকে হাই কোর্টের নির্দেশে বার বার এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে গিয়েছে। ২০১৯ -এর প্রথম মেধাতালিকাটি বাতিল করে দেয় উচ্চ আদালত। ২০২৩ হাই কোর্ট জানিয়েছিল, প্যানেল প্রকাশ করা যেতে পারে, কিন্তু কাউকে নিয়োগের সুপারিশ করতে পারবে না এসএসসি। তার পরে মামলাটি যায় নতুন ডিভিশন বেঞ্চে। গত ১৮ জুলাই বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত শুনানি শেষ হয়েছে। বুধবার রায় ঘোষণা করা হল।
উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক ত্রুটির অভিযোগ তুলে ধরে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। ২০২৩ সালে শুধুমাত্র অনুমানের ভিত্তিতে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া থেকে ১,৪৬৩ জনকে বাদ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মামলাকারীরা জানান, সিদ্ধান্তের এই সিদ্ধান্তের পেছনে থাকা কারণ চাকরিপ্রার্থীদের জানানো হয়নি।
বুধবারের রায়ে ১৪ হাজার ৫২ টি পদে নিয়োগের নির্দেশ জারি করল কলতাকা হাই কোর্ট। পাশাপাশি, মেধাতালিকা থেকে বাদ পড়া ১ হাজার ৪৬৩ প্রার্থীর নাম যুক্ত করে নতুন মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।