কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষকে তলব সিবিআইয়ের। তাঁকে ঝালদা থানায় সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে বলা হয়েছে। সঞ্জীবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবারই ঝালদা যান সিবিআইয়ের ডিআইজি। এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখার পাশাপাশি কথা বলেন পারেন প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গেও। অন্যদিকে, ঝালদার অস্থায়ী ক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের প্ৰত্যক্ষদর্শী সুভাষ গরাই, যাদব রজক, প্রদীপ চৌরাসিয়া, উজ্জ্বল চট্টরাজ ও নিহতের ভাইপো মিঠুন কান্দুকে। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকেই শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।
তপন কান্দু খুনের পর তদন্তে নেমে চার জনকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। সূত্রের খবর, ধৃতদের শুক্রবারই সিবিআই নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে।
আরও পড়ুন- Tapan Kandu Murder: তপন কান্দু হত্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুকে নিগ্রহের প্রতিবাদে বুধবার কংগ্রেস ঝালদায় ১২ ঘণ্টার বন্ধ ডাকে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সে দিনই তপনের বন্ধু নিরঞ্জন বৈষ্ণবের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তা নিয়েও উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরিবারের দাবি, তপনের পাশাপাশি নিরঞ্জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত করতে হবে সিবিআইকে। পুলিশের চাপেই নিরঞ্জন আত্মঘাতী হয়েছেন বলেও দাবি পরিজনদের।
মৃতের পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার থেকেই নিরঞ্জনের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। সকালে মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই মোবাইল ফোনের খোঁজ মিলছে না। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপারের দাবি, সুইসাইড নোটেই সব কিছু পরিষ্কার করে বলা আছে। তিনি যেহেতু এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, তাই স্বাভাবিকভাবে তার উপর চাপ পড়েছিল।
গত ১৩ মার্চ ঘুরতে বেরিয়ে খুন হন পুরুলিয়ার ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বন্ধু নিরঞ্জন। স্থানীয়দের দাবি, মঙ্গলবার রাতে বন্ধুর বাড়িতে ছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের অন্যতম প্রধান সাক্ষী নিরঞ্জন। বুধবার ভোরে বাড়ি ফেরেন। তারপর ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
আত্মীয়দের দেওয়া সুইসাইড নোট অনুযায়ী, কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের সাক্ষী নিরঞ্জন লেখেন, ‘যে দিন তপনের (নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর) হত্যা হয়, সে দিন থেকে আমি মানসিক অবসাদে ভুগছি। যে দৃশ্য দেখেছি, তা কোনও ভাবেই মাথা থেকে বার করতে পাচ্ছি না। ফলে ঘুম হচ্ছে না রাতে। শুধু ওই ঘটনাই মনের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। তার পর থেকে বার বার পুলিশের ডাক. আমি জীবনে থানার চৌকাঠ পার করিনি। এই সব আমি আর সহ্য করতে না পেরে এই পথ বেছে নিলাম। এতে কারও কোনও প্ররোচনা, চাপ বা হাত নেই। আমি স্বেচ্ছায় আত্মত্যাগ করলাম।’
মৃতের পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার থেকেই নিরঞ্জনের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। সকালে মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই মোবাইল ফোনের খোঁজ মিলছে না। যদিও পুরুলিয়ার পুলিশ সুপারের দাবি, সুইসাইড নোটেই সব কিছু পরিষ্কার করে বলা আছে। তিনি যেহেতু এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, তাই স্বাভাবিকভাবে তার উপর চাপ পড়েছিল।