টানা দু সপ্তাহ ধরে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি করছেন। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে বন্ধ পরিষেবা। হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বারবার কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তদন্তের অগ্রগতি না হলে তাঁরা কাজে যোগ দেবেন না। শনিবার স্বাস্থ্যভবনের কর্তাদের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠক হয়। কিন্তু সেই বৈঠকেও বরফ গলল না। জানা গিয়েছে, এই বৈঠকের পরেও কোনও ফল হয়নি।
হাই কোর্টের নির্দেশের পর আরজি কর হাসপাতালের তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। সিবিআই দায়িত্ব পাওয়ার পর তদন্তের কতটা অগ্রগতি হল, তা জানতে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা সিজিও কমপ্লেক্সে যান। কিন্তু কোনও সদুত্তর না পেয়ে তাঁরা ফিরে আসেন। জানিয়ে দেন, এখনই কর্মবিরতি তুলছেন না তাঁরা। এদিনও স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা বারবার তাঁদের কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার আবেদন করেন। কিন্তু নারাজ জুনিয়র চিকিৎসকরা।
আন্দোলনকারীদের দাবি, কে খুনী, মোটিভ কী ছিল, কারা জড়িত, এসব প্রশ্নের উত্তর না পেলে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন। জানা গিয়েছে, শনিবারই সন্ধের পর বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠক করবে স্বাস্থ্য ভবন। চারটি বেসরকারি হাসপাতাল ওই বৈঠকে যোগ দেবে। চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক করতে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
এদিকে ফের চাপ বাড়ল সন্দীপ ঘোষের। আরজি কর মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালে দুর্নীতি মামলায় FIR দায়ের করল সিবিআই। সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা এই FIR দায়ের করে। শনিবার সকালে এই মামলার নথিপত্র সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় রাজ্য সরকারের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় হাই কোর্টে ইডি তদন্তের আবেদন করা হয়। কিন্তু হাই কোর্ট এই মামলা সিবিআইকেই দেখার নির্দেশ দেন।
অন্য দিকে আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের একটি বাইক বাজেয়াপ্ত করল সিবিআই। শনিবার সন্ধ্যায় বাইকটি সিজিও কমপ্লেক্সে আনা হয়। তাঁর বাইকে কলকাতার পুলিশের স্টিকার ছিল। একজন সিভিক ভলান্টিয়ার কীভাবে কলকাতা পুলিশের বাইক ব্যবহার করত, তা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।