রামপুরহাট কাণ্ডের (Rampurhat genocide) পর এবার বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুনের (Bhadu Sheikh Murder) ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta Highcourt)। শুক্রবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়।
এই নিয়ে গত সাড়ে সাত মাসে নবম সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। এর আগে তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের তদন্ত করছিল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য পুলিশ। হাই কোর্টে আবেদন জমা পড়েছিল, বগটুইয়ের পাশাপাশি ভাদু খুনেরও তদন্ত যেন সিবিআইকে দেওয়া হয়। শুক্রবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেয়, সিবিআই উপপ্রধান খুনেরও তদন্ত করবে।
বিচারপতির বেঞ্চ শুনানিতে জানিয়ে দেয়, ভাদু শেখের খুনের ঘটনা এবং বগটুইয়ের অগ্নিকাণ্ডের (Bogtui case) ঘটনা পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই এই মামলার ভারও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকেই দেওয়া হল।
এর আগে বগটুইতে আগুনে পুড়ে ৭ জনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। বৃহস্পতিবার তদন্তকারীরা মুম্বই থেকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হল তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনাও।
ভাদু শেখ খুনে সিবিআই তদন্ত নিয়ে ভিন্ন মত ধরা পড়েছিল সিবিআইয়ের দুই আইনজীবীর কথায়। সে কারণেই বৃহস্পতিবার রায়দান স্থগিত রাখে আদালত। শুক্রবারের রায়দানে ভাদু শেখ হত্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার, ভাদু শেখ খুনের তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে এজলাসে চরম মতবিরোধ কেন্দ্রীয় আইনজীবীদের।
অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুরের বক্তব্য, প্রথম মামলার দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরুর পর ১০ দিন কেটে গেছে। এখন আবার নতুন মামলা কী ভাবে নেবেন! এতদিনে ভাদু শেখ খুনের সব তথ্যপ্রমাণ মুছে গেছে। কেন আগেই একবারে দেওয়া হয়নি। যদিও শেষ পর্যন্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সলিসিটর জেনারেল জানান, আদালত নির্দেশ দিলে তবেই সিবিআই তদন্ত করবে।
গত ২১ মার্চ, সোমবার সন্ধ্যায় বীরভূমের বগটুই মোড়ে খুন হন বড়শাল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ৷ তাঁর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বগটুই গ্রামের পূর্বপাড়ায় তাণ্ডব চালায় একদল যুবক৷ আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি বাড়িতে৷ সেই আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় ৯ জনের৷ নিহতদের অধিকাংশ মহিলা ও শিশু৷