করুণাময়ীকাণ্ড নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি । ২০ অক্টোবর মাঝরাতে টেট (Tet Agitation) আন্দোলনকারীদের উপর 'পুলিশি অত্যাচার'-এর ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে সব মহল । পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন । রাজ্য সরকারকে শানিত ভাষায় আক্রমণ করছে বিরোধীরা । গোটা বিষয়টির সমালোচনা করেছেন বিদ্বজ্জনেরাও । এবার তাঁদের রাস্তায় নেমে ঘটনার প্রতিবাদ করতে দেখা গেল । শনিবার, ধর্মতলায় নাগরিক মিছিলে (Nagorik Michil) হাঁটলেন বাদশা মৈত্র (Badsha Maitra), মন্দাক্রান্ত সেন, শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra) সহ অনেকেই ।
শুধু প্রতিবাদ মিছিল নয়, এদিন সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন বাদশা, শ্রীলেখারা । আগামী দিনে, এই মন্ত্রিসভা থাকুক, তা চান না শ্রীলেখা । তাঁর প্রশ্ন, যাঁরা অনশন করছিলেন, তাঁদের অপরাধ কী ? শ্রীলেখার কথায়, তাঁদের অপরাধ এটাই যে, তাঁরা তাঁদের অধিকারের কথা বলছে । নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, উনি অধিকারের কথা শুনতে চান না । তাই তুলে দেওয়া হয়েছে ।
অভিনেতা বাদশা মৈত্রের কথায়, গোটা রাজ্যে দুর্নীতি চলছে । তা এই ঘটনাতেই আরও পরিষ্কার হয়ে গেল । যাঁরা অন্যায় করল,তাঁরাই পুলিশ পাঠিয়ে ন্যায্য প্রার্থীদের রাস্তা থেকে তুলে দিল । এটা একেবারেই ঠিক হয়নি ।
বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর । রাত ১২টা । করুণাময়ী চত্বরে তখন আমরণ অনশনরত চাকরিপ্রার্থীরা তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন । পুলিশ ঘিরে রয়েছে গোটা চত্বর । চারিদিকে 'চাকরি চাই' দাবির রব । হঠাৎ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে । সাড়ে ১২টার পর উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে। মাত্র মিনিট কুড়ির মধ্যে টেনে হিঁচড়ে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। রাত১২টা ১৬ মিনিটে চাকরিপ্রার্থীদের অনশন মঞ্চটিকে বেআইনি ঘোষণা করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। এরপর ১২টা ৩৬ মিনিট নাগাদ পুরো ফাঁকা করে দেওয়া হয় গোটা এলাকা। ফ্লেক্স, পোস্টার সরিয়ে দেওয়া হয়। মিনিট কুড়ির পুলিশি হস্তক্ষেপে শেষ হয়ে যায় ৮৪ ঘণ্টার আন্দোলন। তার আগে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ব্যপক ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। বহুজনকে আটক করা হয়।