কলকাতা সহ বাংলার অন্যান্য জেলায় উৎসব শেষ হলেও হুগলির চন্দননগরে এই মুহুর্তে সাজো সাজো রব। কারণ সোমবার জগদ্বাত্রী পুজো। চন্দননগরবাসীর শারদীয়া বলতে এই পুজোই। সারা বাংলার অসংখ্য মানুষ জগদ্বাত্রী পুজো দেখতে ভীড় জমায় চন্দননগরে। ইতিমধ্যেই পুজোর তোরজোর শুরু হয়ে গিয়েছে। গত দু'বছর করোনার দাপটে উৎসবের আনন্দে বেশ কিছুটা ভাটা পড়লেও এবার চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে মোট পুজোর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৬ টি।
চন্দননগরের আলোকসজ্জা সারা দেশ খ্যাত। এবছর বিসর্জনে সর্বকালের সেরা আলোকসজ্জার শোভাযাত্রা করতে প্রস্তুত ছিল পুজো মণ্ডপগুলি। এই শোভাযাত্রায় ৬১ টি পুজো অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু পুজোর আগেই চিন্তার ভাঁজ চন্দননগরবাসীর কপালে ভাঁজ।
বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পুজো কমিটির মিটিং-য়ে গিয়ে জানান ডিসেম্বরের শেষে কিংবা জানুয়ারির শুরুতে হবে ভূগর্ভস্থ কেবল বসানোর কাজ। যার জেরে এবারেও দশমীর দিন বিদ্যুৎহীন থাকবে চন্দননগর। কথা ছিল পুজোর আগেই কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। তাই এবারেও দশমীর দিন সকাল দশটা থেকে সন্ধে ছ’টা পর্যন্ত চন্দননগরে বিদ্যুৎ থাকবে না বলেই জানিয়েছেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী।
তবে বিদ্যুৎ মন্ত্রী আরও জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য যাতে পুজোয় কোনও ঘাটতি না হয় তার জন্য ৬৬৫ জন কর্মী দিন-রাত কাজ করবেন। খোলা থাকবে ১৩ টি অফিসও।