সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলা উচিত। জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে এই মন্তব্য করলেন অর্থ দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। তিনি জানিয়েছেন, কোনও শর্ত চাপিয়ে খোলামনে আলোচনা করা কখনই সম্ভব নয়।
নবান্নের বৈঠকে যোগ না দিয়ে মুখ্যসচিবকে মেলের মাধ্যমে জবাব পাঠান জুনিয়র ডাক্তাররা। সেখানে তিনটি শর্তের উল্লেখ করেন। আর তারপরেই ৭টা নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং রাজ্য পুলিশের DG রাজীব কুমার।
সাংবাদিক বৈঠকে মনোজ পন্থ জানান, আলোচনার জন্য জুনিয়র ডাক্তারদের আহ্বান করা হলেও তাঁরা আসেননি। যা দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি কাজে ফেরা এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নেওয়ার অনুরোধ করা হলেও তা মানা হয়নি বলেও জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।
রাজীব কুমার এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দেওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও আন্দোলনকারীরা এখনও কাজে যোগ দিচ্ছেন না। যা সুপ্রিম কোর্ট অবমাননাকর করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এরপর মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, পুরো ঘটনায় রাজনীতির প্রভাব চোখে পড়ছে। আর সেইকারণে বারবার আলোচনা সম্ভব হচ্ছে না। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, মুখ্যসচিব খোলা মনে আলোচনার জন্য বার্তা পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা না আলোচনায় করে শর্ত চাপানো হচ্ছে। পাশাপাশি ভোর ৩টে ৫০-এ মেইল পাঠানো নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
বুধবার দুপুরেই মুখ্যসচিব চিঠি দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তারদের । সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় আলোচনার জন্য ডাক্তারদের আহ্বান জানানো হচ্ছে । এদিন সন্ধেয় চিকিৎসকদের ১২ থেকে ১৫ জনের প্রতিনিধিদল যেতে পারেন নবান্নে । যদিও, আন্দোলনকারীরা দাবি করেছিলেন ৩০ জনের প্রতিনিধি দল । সেই দাবি অবশ্য মানা হয়নি । সেই মেইলের উত্তরে আবারও চারটি শর্ত চাপিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা ।