১২৫ কেজির পুরপ্রধান (Municipal Chairman)। পুরুলিয়ার (Purulia) প্রশাসনিক বৈঠকে তা শুনে অবাক হয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। সোমবার পুরুলিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। আগাগোড়াই এই প্রশাসনিক বৈঠকে জেলা প্রশাসনের (District Administration) কর্তাদের উপর কার্যত নিজের রাগ উগড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু ঝালদা পুরসভার (Jhalda Municipality) চেয়ারম্যান সুরেশ আগারওয়ালকে (Suresh Agarwal) দেখে অবাক হয়ে যান তিনি।
জেলার বাকি তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে এই বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন ঝালদার পুরপ্রধান সুরেশ আগারওয়ালও। মূলত সুবর্ণরেখা নিয়ে একটি প্রজেক্ট নিয়ে দরবার করতেই মুখ্যমন্ত্রীর সামনে উঠে ছিলেন সুরেশ। কিন্তু তাঁর চেহরা, বিশেষ করে ভুঁড়ির বহর দেখে অবাক হন মুখ্যমন্ত্রী। পুরপ্রধানের ভুঁড়ি যেভাবে বাড়ছে তাতে ব্লক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন মমতা। কিন্তু অকপট সুরেশ জানান, না ব্লক হবে না। কারণ, তাঁর সুগার বা প্রেশার কিছুই নেই। এমনকী লিভারেও কোনও সমস্য়া নেই বলেই জানান সুরেশ। শুধু ভালবাসেন সকাল বিকেল একটু পকোরা খেতে।
এটা শুনে নিজের হাসি আর চেপে রাখতে পারেননি মমতা নিজেও। প্রশ্ন করেন হাঁটাহাঁটি বা যোগব্য়ায়াম করা হয় কীনা ? তাতেও সুরেশ জানান, তিনি কোনও ওষুধ খান না। সকাল-বিকেল হাঁটাহাঁটি করেন। এমনকী রোজ দেড় ঘণ্টা নিয়ম করে যোগব্য়ায়াম করেন।
কী ব্য়ায়াম করেন ? প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর।
সুরেশও নাক চেপে মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর ব্য়ায়ামের পদ্ধতি দেখাতে শুরু করেন। তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এতো প্রাণায়াম। তাতে কী ভুঁড়ি কমবে ? সুরেশের দাবি, এরসঙ্গে তিনি এ হাজার বার কপাল ভারতিও করেন। এই শুনে মুখ্য়মন্ত্রী তাঁকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মঞ্চে এসে এক হাজার বার কপাল ভারতী করতে বলেন। উত্তরে সুরেশ বলেন, বিকেল পাঁচটার পর। কারণ, তিনি শুধুমাত্র সকালে আর বিকেলেই কপাল ভারতী করে থাকেন।
সুরেশ আগারওয়ালের ওজন ১২৫ কেজি শুনে আরও চমকে যান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে অ্যারোবিক্স করার পরামর্শও দেন। এমনকী ঘড়ি ধরে বেঁধে দেন খাবার সময়। সবকিছু শুনে সুরেশও জানান, তিনি দিদির নির্দেশ যথাযথ পালন করবেন।