সিত্রাং নিয়ে রাজ্যবাসীকে ফের সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। সোমবার তিনি জানিয়েছেন, এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আছড়ে পড়বে। কিন্তু সেটা মনে করে এই রাজ্যে হালকা থাকা যাবে না। মঙ্গলবার ভোরেই বাংলাদেশে উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। ইতিমধ্যে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। হাওয়া অফিসের এই পূর্বাভাস জানার পরেই মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন, যতক্ষণ না আবহাওয়া পরিস্কার হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত যা যা সতর্কতা জারি করা আছে, তা চলবে। কালীপুজো এবং দীপাবলির উৎসবও সতর্ক ভাবে পালন করতে রাজ্যবাসীকে অনুরোধ করেছেন তিনি।
এদিকে, সন্ধ্যে থেকেই বৃষ্টির দাপট বাড়ছে। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের উপকূল ঘেষা জেলাগুলিতে বইছে জোড়ো হাওয়া। তবে, উত্তরবঙ্গেও বিকেলের পর সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে কোচবিহার ও দুই দিনাজপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। জঙ্গলমহল এলাকাতেও সিত্রাংয়ের প্রভাব দেখা গিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংকে নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না রাজ্য সরকার। ফলে আগে ভাগেই তাজপুর, শঙ্করপুর, দিঘা, মন্দারমণি, বকখালির মতো জায়গাগুলি থেকে পর্যটকদের ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, পর্যটকদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণেও একাধিক পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
আগাম সতর্কতা নিয়ে নীচু জায়গাগুলো থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে আনা হচ্ছে অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে। ইতিমধ্যেই এই সংখ্যাটা প্রায় ৩০ হাজারের কাছাকাছি বলেই খবর। অন্যদিকে, এবারও সকলের নজর সুন্দরবনের ঘোড়ামারা দ্বীপে। ইতিমধ্যেই সেখানে প্রশাসনিক উদ্যোগে চাল-ডাল-শুকনো খাবার-তেল-ত্রিপল পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরও।