পার্ক সার্কাস গুলি কাণ্ডে (Park Circus Firing) অভিযুক্ত পুলিশকর্মী চোডুপ লেপচা (Chodup Lepcha Kolkata Police) দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর সহকর্মীরা। যদিও চোডুপের পরিবার তা মানতে নারাজ।
শুক্রবার দুপুরে পার্ক সার্কাসে বাংলাদেশ হাই কমিশনের আউটপোস্ট ডিউটিতে ছিলেন চোডুপ। তখন তিনি আচমকা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন। গুলিতে মৃত্যু হয় এক পথচারীর। জখম হন দুই জন। এরপর আত্মঘাতী হন চোডুপ।
এই ঘটনার পরে কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানিয়েছিলেন, চোডুপ সম্ভবত মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। উল্লেখ্য,চোডুপের বাবা পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পরে গত বছর কমপ্যাশনেট গ্রাউন্ডে চাকরি পান চোডুপ। তাঁকে এসটিএফ-এ পোস্টিং দেওয়া হয়।
চোডুপের সহকর্মীদের দাবি, এসটিএফ-এ থাকার সময়েই তাঁর অসংলগ্ন আচরণ ধরা পড়ে। একবার পুলিশি অভিযান চলাকালীন এক ধৃতকে সঙ্গে নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করেন চোডুপ। সহকর্মীরা তাঁকে এনকাউন্টার করার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন এই অভিযোগ তুলে তিনি ফেসবুকে লাইভ করার চেষ্টা করেন। সেই সময় সহকর্মীরা তাঁকে নিরস্ত করেছিলেন। পরে তিনি থানায় ফিরে এসে তান্ডব চালান। দেওয়ালে নিজের মাথা ঠুকে মাথা ফাটিয়ে ফেলেন। সেই সময় চোডুপের মানসিক সমস্যা সারিয়ে তুলতে পুলিশের তরফে কোনও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল কিনা তা জানা যায়নি। তবে সেই ঘটনার পরে তাঁকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল। ছুটি থেকে ফেরার পর গত মাসে তাঁকে পঞ্চম ব্যাটেলিয়ানে পোস্টিং দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, মানসিক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও কেন চোডুপকে কেন সশস্ত্র বাহিনীতে পোস্টিং দেওয়া হয়েছিল।
তবে চোডুপের পরিবারের দাবি তাঁর কোনও মানসিক সমস্যা ছিল না। ছোডুপের বাড়ি কালিম্পঙের ঝালংয়ের টাকনা গুম্বা লোলে। টেলিভিশনে শুক্রবার দুপুরে তাঁর এই কাণ্ডের খবর শুনে হতবাক তাঁর পরিবার। ছোডুপের জামাইবাবু ছয়গাল লেপচা জানিয়েছেন, সবে মাত্র ও ডিউটি জয়েন করেছিল। ওর কোনও মানসিক সমস্যা ছিল না। কিন্তু কেন এমন করল তা স্পষ্ট নয়।