গরু পাচার কাণ্ডে (Cow Smuggling Case) এবার গ্রেফতার এনামুল (Enamul) ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি । জানেরুল শেখ নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি (CID) । শনিবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের (Murshidabd) রঘুনাথগঞ্জের এলআইসি মোড় থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় । রবিবার ধৃতকে বহরমপুরে সিআইডির বিশেষ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেন।
সিআইডি সূত্রে খবর, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের হাতে আটক হওয়া গরুকে 'মৃত' দেখিয়ে বাংলাদেশে পাচার করা হত । আর তাতে বিএসএফের সঙ্গে রাজ্য পুলিশের কয়েক জনের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ছিলেন জানেরুল। আর সেখানেই বিএসএফ ও রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ।
আরও পড়ুন, Sheikh Hasina : ভারত থেকে আসা গরুর উপর নির্ভর করে না বাংলাদেশ, গরু পাচার নিয়ে মুখ খুললেন শেখ হাসিনা
ঘটনার শুরু ২০১৯ সালে। সেবার রঘুনাথগঞ্জ সীমান্তে প্রায় ১৯০০ গরু আটক করে বিএসএফ । গরুগুলিকে রাজ্য পুলিশের হাতে হস্তান্তরিত করা হয় । রাজ্য পুলিশ তাঁদের অধীনস্থ সীমান্তবর্তী এলাকার সিমুলিয়া গ্রামের একটি খোঁয়াড়ে গরুগুলিকে মজুদ করে রাখে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই খোয়ার মালিক এনামুলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। এই খোঁয়াড়ে এনামুলকে বেশ কয়েকবার আসতেও দেখেছেন তাঁরা । সিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই গরুগুলো রাতারাতি খোঁয়াড় থেকে উধাও হয়ে যায় । বিএসএফের সাহায্য ছাড়া এগুলো ভিন্দেশে পাচার হতে পারে না বলে অভিযোগও ওঠে । পুলিশ সরকারি ভাবে ওই গরুগুলিকে ‘মৃত’ বলে দেখায় ।
গরুগুলি রাতারাতি কীভাবে ‘মৃত’ হয়ে গেল,সেটা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে ।রাজ্য গোয়েন্দাদের দাবি, বিএসএফের হাতে আটক দাবিহীন জীবিত গরুগুলোকে মৃত দেখানোর পিছনে বিএসএফ এবং রাজ্য পুলিশের একাংশ রয়েছে। তা ছাড়া স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারাও যুক্ত থাকতে পারেন। জেনারুলকে গ্রেফতার করে এই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের শিকড়ে পৌঁছতে চাইছেন তদন্তকারীরা। কারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত, কোনও সরকারি আধিকারিক এই বেআইনি কারবারে মদ দিতেন কি না, সেই সব তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তাঁরা।