বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিমের হত্যার মূল অভিযুক্ত কোথায়? সেই উত্তরের খোঁজেই নেপাল যাচ্ছে সিআইডি-র একটি দল। তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান, মূল অভিযুক্ত আখতারুজ্জামান কলকাতা থেকে কাঠমান্ডু হয়েই পালিয়েছেন। সূত্রের খবর, তিনি দুবাই বা আমেরিকায় পালিয়ে যেতে পারেন বলেও অনুমান করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
এর আগেই বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিমকে খুনের ঘটনায় পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছিল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃত কসাই জিহাদ হাওলাদারকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, খুনের পর আনোয়ারুলের দেহ প্রায় ৮০ টুকরো করা হয়। এবং এই কাজের জন্য ৫ হাজার টাকা পেয়েছে সে। নিউটাউন, ভাঙড়ের একাধিক জলাশয়ে ওই দেহাংশগুলি ফেলা হয়েছে।
জিহাদের বয়স ২৪ বছর। সে পুলিশকে জানিয়েছিল, ১৩ মে সারারাত ধরে দেহ কাটতে হয়েছিল। কাজ করার সময় তাদের মদ খেতে হয়েছিল। পরের দিন জিহাদ মৃত সাংসদের জামা পরেই বেরিয়ে যায়। কারণ তার জামায় রক্তের দাগ লেগে ছিল।
রবিবার খুনের তদন্তে কলকাতার নিউ টাউনের অভিজাত আবাসনে যান বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধান। তাঁর সঙ্গে ছিল তদন্তকারীদের একটি দল। রাজ্যের সিআইডি আধিকারিকরাও সঙ্গে ছিলেন। ভাঙড়ে, যেখানে দেহাংশ উদ্ধার হয়, সেই স্থানও ঘুরে দেখেন তাঁরা। অভিযুক্ত জিহাদকে প্রায় ৪ ঘণ্টা জেরা করেন তিনি।
গত ১২ মে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। ১৩ তারিখে তাঁকে খুন করার অভিযোগ ওঠে। ২১ মে তাঁর দেহাংশ উদ্ধার করা হয়। সেই ঘটনার তদন্তভার যায় CID-র উপর।