লালন শেখের (Lalan Seikh Death) অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু করল সিআইডি (CID) । বগটুই-কাণ্ডে মূল অভিযুক্তের মৃত্যুতে ইতিমধ্যেই বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই (CBI) । এবার স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলার তদন্তভার হাতে নিল রাজ্যের তদন্তকারী দল, সিআইডি । তদন্তের সূত্রে, মঙ্গলবার সকালে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছয় চার সদস্যের সিআইডির দল । লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনার পুরো ভিডিওগ্রাফি তাঁরা খতিয়ে দেখবেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর ।
এদিকে, লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ । সিবিআই-এর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ১২০ বি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে । পরিকল্পনামাফিক খুন ও খুনের ষড়যন্ত্রে অংশগ্রহণ করার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে । লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো উত্তপ্ত পরিস্থিতি রামপুরহাটে ।
আরও পড়ুন, Lalan Seikh Death : সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু, বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু সিবিআইয়ের
সোমবার সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরের শৌচালয়ে লাল রঙের গামছা গলায় জড়ানো অবস্থায় লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল ৪টে ৫০ মিনিট নাগাদ শিবিরের শৌচালয়ে গিয়ে গলায় গামছা জড়িয়ে আত্মঘাতী হন লালন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে যথেষ্ট নিরাপত্তা থাকার কথা। লালনের নিরপত্তার দায়িত্বে ছিল সিআরপিএফ। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন দু’জন সিবিআই আধিকারিক এবং এক জন কেন্দ্রীয় জওয়ান।
মঙ্গলবারই লালনকে আদালতে উপস্থিত করানো সংক্রান্ত কাজেই সোমবার দুপুরে আদালতে গিয়েছিলেন দুই সিবিআই আধিকারিক। সেই সময় লালনের পাহারায় ছিলেন মাত্র এক জন কেন্দ্রীয় জওয়ান । বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্তের নিরাপত্তায় এত ফাঁক কেন ছিল, এখন উঠে আসছে সেই প্রশ্নই ।