পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ‘কাছের লোকজন’- এর ভূমিকা খতিয়ে দেখছে ইডি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য, আয়কর রিটার্নের তথ্য খতিয়ে দেখতে পারেন আধিকারিকরা। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে একাধিক সংস্থার নথি উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করেছিল ইডি। সেই সব তথ্যের ভিত্তিতেই তদন্তকারীদের অনুমান, হাওয়ালার মাধ্যমে হয়তো বিদেশেও টাকা পাচারের চক্র চলত এই সব ফ্ল্যাট থেকে। তাঁদের ধারণা, সে ক্ষেত্রে দুই ‘প্রভাবশালী’র ঘনিষ্ঠ এবং বিশ্বস্ত ব্যক্তি মারফত যদি টাকা পাচার হয়ে থাকে, তবে ওই দু’জনের ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নজর দিলে আরও নতুন তথ্য উঠে আসতে পারে।
MLA Arrest:টাকা সহ ঝাড়খণ্ডের ৩ বিধায়ক গ্রেফতারের ঘটনায় নাম জড়াল অসমের মুখ্যমন্ত্রীর
ইডি সূত্রে দাবি, অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় বেশ কিছু সংস্থার নথি এসেছিল তাদের হাতে। মিনিস্ট্রি অব কর্পোরেট অ্যাফেয়ার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলঘরিয়ার ওই ফ্ল্যাটের ঠিকানাতে দু’টি সংস্থাও রয়েছে। সেই সব সংস্থার ইমেলে পাওয়া গিয়েছে অর্পিতার নামের আদ্যক্ষর। একই ঠিকানায় দু’টি সংস্থা থাকায় প্রশ্ন ওঠে, তবে কি ভুয়ো সংস্থা তৈরি করে তার নামে টাকার লেনদেন চালাতেন অর্পিতা। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা আর কোথায় কোথায় বিনিয়োগ করা হয়েছে, তা জানতেও এর পর তদন্ত শুরু করে ইডি। সূত্রের খবর, এই প্রক্রিয়াতেই বিদেশে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারের তত্ত্বও উঠে আসে।
ইডি সূত্র খবর, হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা বাংলাদেশ বা অন্যত্র পাঠানো হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে তদন্তকারীরা। পাশাপাশি এই ধরনের কাজে যেহেতু বিশ্বস্তদের উপরই ভরসা করা হয়, সে জন্য পার্থ (Partha Chatterjee) এবং অর্পিতার (Arpita Mukherjee) ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যও দেখতে চাইছে ইডি। এর আগে অর্পিতার জামাইবাবু কল্যাণ ধরের নাম একটি সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছিল ইডি। যদিও কল্যাণ কাজ করতেন ওই সংস্থার গাড়ির চালক হিসেবে।