রাজ্যে গরুপাচার (Cow Smuggling) ও কয়লাপাচার (Coal Smuggling) কাণ্ডে ইডি (ED) ও সিবিআইয়ের (CBI) নজরে রয়েছে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা । বিভিন্ন সময় তাঁদের তলব করা হচ্ছে । তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও নিস্তার পাননি । এবার রাজ্যে কয়লা-গরু পাচারের অভিযোগ নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশ, অসম থেকে কয়লা ও গরু যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে । তাঁর প্রশ্ন, এখানে রাজ্যের দোষ কোথায় ? কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে তৃণমূল নেত্রী জানান, এই অন্যায় তাঁরা মেনে নেবেন না । অবিলম্বে ভিন রাজ্য থেকে এ রাজ্য কয়লা-গরুর যাতায়াত বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি । অন্যদিকে, গরু-কয়লা পাচারের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘হাস্যকর’ ও ভিত্তিহীণ বলে দাবি করেছে বিরোধীরা ।
বুধবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী । এই বৈঠকে রানিগঞ্জের ধসপ্রবণ এলাকার মানুষদের পুনর্বাসন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে তিনি জানতে চান । ফিরহাদ হাকিমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, পুনর্বাসন খাতে প্রায় সাড়ে তিনশো কোটি টাকা বকেয়া রেখেছে কোল ইন্ডিয়া । এরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী । বক্তব্যের মাঝেই টেনে আনেন কয়লা-গরু পাচার প্রসঙ্গ । তাঁর অভিযোগ, অসম থেকে অবৈধ কয়লা আসছিল, সেটা আটকানো হয়েছে । কেন্দ্রকে আক্রমণ করে মমতা বলেন , "শুধু ইডি-সিবিআই দিয়ে কয়েকটা রাজনৈতিক লক্ষ্যে গ্রেফতার করলেই হয়ে যাবে ?" মমতার প্রশ্ন, "আমার রাজ্যে কেন অবৈধ কয়লা ঢুকবে ! উত্তরপ্রদেশ থেকে এ রাজ্য দিয়ে গরু যাবে, আর গরু পাচারের দোষ রাজ্য সরকার নেবে কেন । "
আরও পড়ুন, Amit Shah : বাংলায় এসে ৫ মে শিলিগুড়িতে সভা করতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
বিএসএফ-এর প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, বিএসএফ বর্ডার দেখছে । তারপরেও পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে কয়লা, গরু যাচ্ছে । এরকম আর বেশিদিন চলতে দেওয়া যাবে না । এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়ার পথে পুলিশ থাকে । সেখানে বিএসএফের কী দায় ? রাজনৈতিক নেতাদের যোগসাজশ ছাড়া গরু পাচার সম্ভব নয় ।"সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর প্রশ্ন, গরু পাচারের আদর্শ কেন্দ্র হিসাবে কেন উত্তরপ্রদেশ বা মধ্যপ্রদেশের লোক বাংলাকে বেছে নিচ্ছে, সেটাই তো বড় প্রশ্ন ।"