উৎকর্ষ বাংলার কর্মসূচিতে নিয়োগপত্র দেওয়া নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছিল, সেই ব্য়াপারে নিজেদের দায় কার্যত স্বীকার করল রাজ্য সরকার। সোমবার রাজ্য়ে মুখ্য়সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, ওই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েছে রাজ্য সরকার। ফলে এবার থেকে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে দু বার খতিয়ে দেখা হবে। ইতিমধ্য়েই এই ঘটনায় এফআইআর করা হয়েছে। মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, অভিযোগের জেরে যাঁরা নিয়োগপত্র পাননি, তাঁদের নিয়োগের ব্য়বস্থা করা হবে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কারিগড়ি শিক্ষা প্রাপ্ত প্রায় ১১ হাজার যুবক-যুবতীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছিলেন রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ওইদিন তিনি ঘোষণা করেছিলেন, পুজোর আগে ৩০ হাজার নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। কিন্তু নিয়োগপত্র বিলির কয়েকদিনের মধ্যেই অভিযোগ ওঠে ১০৭ জন ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। মূলত এই ১০৭ জন ছিলেন হুগলির বাসিন্দা। মূলত এই ঘটনায় এক এজেন্টের বিরুদ্ধেই এফআইআর করা হয়েছে।
রাজ্যের বণিক সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেই এই নিয়োগপত্র বিলি করেছিল রাজ্য। এদিন মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, এই ঘটনার পর সিআইআইকেও কড়া কথা শুনিয়েছেন তিনি। তাই ভবিষ্যতে এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে দু বার নিয়োগপত্র খতিয়ে দেখারও আশ্বাস দিয়েছেন। একসঙ্গে রাজ্যের প্রতিশ্রুতি, যদি ফের এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে চাকরিপ্রার্থী সরাসরি রাজ্য এবং সিআইআই-এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।
ভুয়ো নিয়োগপত্র। এই অভিযোগ ওঠার পরেই সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন বিরোধীরা। এদিন মুখ্যসচিবের দাবি, এই চাকরি সরকার করে দিচ্ছে না। বরং একটা মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে, যেখান থেকে বেসরকারি সংস্থায় কর্মী নিয়োগের সুবিধা করা হচ্ছে।