মাটি কাটা থেকে শুরু। হঠাৎ করেই তাকে পেয়ে বসেছিল বাজির নেশায়। গুরু মেনেছিল বাজি কিং ভানু বাগকে। তাই খাদিকুলের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল তার। গ্রেফতার হয়েছিল। জামিন পেয়ে বাইরে আসতেই বিখ্যাত হতে চেয়েছিল আলুবোম বানানোর সেরা কারবারি হিসাবে। রবিবার দত্তপুকুরের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কেরামত আলি সম্পর্কে একথাই জানিয়েছে তার পরিবার।
উত্তর চব্বিশ পরগনার বাজি কারখানার বিস্ফোরণে রাত পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। মারা গিয়েছে কেরামতে ছেলে রবিউল এবং বাড়ির মালিক সামসুল আলিও। কিন্তু ঘটনার কয়েকঘণ্টা পরেও খোঁজ নেই কেরামতে।
সে জীবিত না মৃত, তা নিয়েও এখনও ধোঁয়াশা চলছে। কারণ, স্থানীয়দের দাবি ঘটনার সময় ওই বাড়িতেই ছিল কেরামত। এমনকী, একথা জানিয়েছে তার পরিবারও। কিন্তু পুলিশ এখনও কেরামতের মৃত্যু নিয়ে নিশ্চিত নয়।
আরও পড়ুন : দত্তপুকুরে রাজ্যপাল, ডিজি ও সিপিকে ডেকে তদন্তে গতি চান মমতা
দু পক্ষ মিলিয়ে পাঁচ সন্তান। এরমধ্যে দ্বিতীয় পক্ষের তিনজন। এহেন কেরামতের বাজি সাম্রাজ্য খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বেড়ে ওঠে বলে অভিযোগ। আলুবোমের ব্যবসাকে আরও বড় করতে খুব দ্রুতই এক থেকে আরও তিনটি বাড়ি কিনে নিয়েছিল সে। প্রতিটি বাড়িতেই ঠাসা ছিল বাজির মশলা। তাঁর কারখানায় কাজ করতে গিয়ে এর আগেও জখম হয়েছেন স্থানীয় মহিলারা। তার পরেও পুলিশ কেন নীরব ছিল, তা নিয়েই দিনভর প্রশ্ন ঘুরপাক খেয়েছে।
গত ২৫ মে এগরার ঘটনার পরেই পুলিশকে এই ব্যাপারে কড়া হতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দাবি করেছিলেন এগরার ঘটনার পর প্রশাসনের চোখ খুলে যাওয়া উচিত। কিন্তু বিষয়টি যে একই তিমিরে, তা ফের প্রমাণ করল রবিবারের দত্তপুকুর। খাদিকুলের সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগ গ্রেফতার কেরামত, কী ভাবে জামিন পেল, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
এই পরিস্থিতিতে রাতপর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। কেরামত সম্পর্কে পুলিশের কাছেও স্পষ্ট কোন তথ্য নেই বলেও একাংশ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। ফলে কেরামত মৃত, জীবিত না পলাতক, তা এখনও ধোঁয়াশা।