ঘরে এসি চলছে। চাদরে ঢাকা যুগলের নিথর দেহ। দেখে কেউ বলবে না, মৃত। বাঁশদ্রোণীর (Bansdroni) ব্রহ্মপুরের একটি বাড়িতে গিয়ে তাজ্জব পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুগলের নাম ঋষিকেষ পাল ও রিয়া সরকার। তাঁরা বেশ কয়েকবছর ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে (Live In Relation) থাকতেন। একটি সুইসাইড নোট (Suicide Note) উদ্ধার করে পুলিশ। যেখানে লেখা ছিল, তাঁদের দেহ যেন বন্ধুদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
রিয়ার পরিবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২৮ বছরের যুবক ঋষিকেষ আরামবাগের বাসিন্দা ছিলেন। প্রথমে লালবাজারের গোয়েন্দা দফতরে কাজ করতেন তিনি। পরে মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভের কাজ নেন। ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন ঋষিকেষ। রিয়া কেষ্টপুরের বাসিন্দা। বাঁশদ্রোণীর আগে গড়িয়াতে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন ওই যুগল।
আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিকে পাশ করতে পারেননি, অভিমানে আত্মঘাতী পূর্ব বর্ধমানের ছাত্রী
রিয়ার পরিবারের দাবি, ক্যানসারের চিকিৎসার খরচ মেটাতে বাজারে প্রচুর ধারদেনা হয়ে গিয়েছিল। তাই রিয়াকে বিয়ে করতে চাননি ঋষিকেষ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই কারণেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল ওই যুগল। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ফোনে আসক্তি, বকা দেওয়ায় আত্মঘাতী ক্লাস এইটের ছাত্রী
রিয়ার পরিবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, তাঁদের ফোনে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। এরপরই বাঁশদ্রোণী থানায় খবর দেয় পরিবারের লোক। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাকাডাকি করে। কিন্তু সাড়া না পেয়ে ফ্ল্যাটের চাবি জোগাড় করে ভিতরে ঢোকে। দেখা যায় বিছানায় পড়ে রয়েছে দেহ। পাশেই রয়েছে ওষুধের ফাঁকা প্যাকেট। দেহ উদ্ধার করে বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা ওই যুগলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।