শক্তি বাড়াচ্ছে 'অশনি' (Cyclone Asani) । বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ উত্তর-পূর্বমুখী । তবে, মঙ্গলবার সকালেই উত্তর-পশ্চিম অর্থাৎ ওড়িশার (Odisha) দিকে অভিমুখ থাকবে ঘূর্ণিঝড়ের । এই মুহূর্তে 'অশনি'-র গতিবেগ ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার । কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ৪ কিলোমিটার বেড়েছে গতিবেগ । তবে, মৌসম ভবন জানিয়েছে, উপকূলের কাছে পৌঁছনোর আগে শক্তিক্ষয়ও শুরু হবে 'অশনি'-র ।
'অশনি'র গতিপথ (Route Map of Asani)
সোমবার সকালে মৌসম ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, পুরী থেকে ৬৮০ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে অশনি । অন্ধ্র উপকূল অর্থাৎ বিশাখাপত্তনম থেকে দূরত্ব ৫৫০ কিলোমিটার । এই মুহূর্তে 'অশনি' ঘূর্ণিঝড় হিসাবে অন্ধ্র উপকূলের দিকেই এগোচ্ছে । এরপর মঙ্গলবার সকালে এর গতিপথ হবে ওড়িশা উপকূলের দিকে । বুধবার রাতে সেটি পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপে । আবহবিদদের অনুমান, 'অশনি' যদি পুরীর উপকূল ছুঁয়ে ফেলে, তাহলে তা সাধারণ ঘূর্ণিঝড় হয়েই প্রবেশ করবে । তা না হলে সেটি পরের দিন গভীর নিম্নচাপ হয়ে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে পারে ।
আরও পড়ুন, Elon Musk: ইলন মাস্কের প্রাণ সংশয়! টুইটে 'রহস্যময় মৃত্যু'র উল্লেখ কেন?
তবে ঝড়ের গতিবেগ কমতে শুরু করবে সোমবার থেকেই । এদিন সকালে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের গতি ছিল ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলেমিটার পর্যন্ত । দুপুর থেকে ঝড়ের গতি কমার সম্ভাবনা । দুপুরে ঝড়ের কেন্দ্রের গতি ঘণ্টায় ৯৫-১১৫ কিলেমিটার হবে । এভাবে প্রতি ছ’ঘণ্টায় ঝড়ের কেন্দ্রের গতিবেগ কমতে থাকবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা । সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর গতি থাকবে ঘণ্টায় ৭৫ থেকে ৯৫ কিলোমিটার ।
এদিকে, 'অশনি'-র অশনি সংকেতের মধ্যেই সোমবার সকাল থেকে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতায় । ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায় জল জমে গিয়েছে । কলকাতা ছাড়াও বৃষ্টি হয়েছে দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনার বিভিন্ন অঞ্চলে । রবিবার সকাল থেকেই সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে । সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে সোমবারও মাইকিং চলছে । যাঁদের কাঁচা মাটির বাড়ি রয়েছে, তাদেরকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । মৎস্যজীবীদের নদীতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে ।