ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'অশনি' (Asani)। এর জেরে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে । আয়লা, আমফানের থেকে শিক্ষা নিয়ে আগাম সর্তকতা অবলম্বন করেছে রাজ্য সরকার । সুন্দরবনের (Sunderbans) মতো উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে । সোমবার সকাল থেকে সাগর ব্লক প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে চলছে মাইকিং (Preparedness begins in various places of West Bengal)। সাগরদ্বীপে ঘুরতে আসা সকল পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের ব্লক প্রশাসন ও গঙ্গাসাগর কোস্টাল থানার পক্ষ থেকে সতর্ক করা হচ্ছে ।
মৎস্যজীবীদের আগামী এক সপ্তাহ সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে । সেইসঙ্গে সাধারণ মানুষকে পরিস্থিতির উপর নজর রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে । আগাম সতর্কতা হিসাবে গ্রামবাসীদের উঁচু স্থানে বা বিদ্যালয়গুলিতে আশ্রয় নিতে বলা হচ্ছে । ইতিমধ্যেই বহু মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হয়েছে । সাগর সংলগ্ন বিভিন্ন অঞ্চলে বাঁধের অবস্থা ভাল নয় । যে কোনও সময় বাঁধ ভেঙে যেতে পারে । যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেইসব বাঁধ মেরামত করা হচ্ছে ।
অন্যদিকে, সুন্দরবনের কুলতলী ও মইপিঠ কোস্টাল থানার পক্ষ থেকে মাইকিং-এর মাধ্যমে সচেতনতা কর্মসূচি চালানো হচ্ছে । যাঁদের কাঁচা মাটির বাড়ি রয়েছে, তাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
একদিন আগেই কৃষকদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছিল নবান্ন । ধানচাষিদের পাকা ধান কেটে গুদামজাত করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । এছাড়া, যেসব ফসল থেকে সবজি, তেল তৈরি হয়, সেগুলির চাষের জমি থেকে জমা জল দ্রুত বের করার ব্যবস্থা তৈরি করতে বলা হয়েছে । আখ, পেঁপে, কলা জাতীয় ফল যাতে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিয়েও বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে নবান্ন ।