রাজ্যের চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। চারটি কেন্দ্র থেকেই জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা। তারমধ্যে সব নজর কেড়ে নিয়েছেন বাগদার তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর। কেন? কারণ চলতি বিধানসভায় সর্ব কনিষ্ঠ বিধায়ক হতে চলেছেন তিনি।
২৫ বছর বয়সী মধুপর্ণা ঠাকুর মমতাবালা ঠাকুরের কন্যা। বিগত দিনে একাধিক আন্দোলন ও বিক্ষোভে মায়ের পাশে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে তৃণমূলের তরফে তাঁকে যে বিধানসভায় পাঠানো হবে এমনটা রাজনৈতিক মহলের অনেকেই ধারণা করতে পারেননি।
লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলা ভোটকে নিজেদের ঝুলিতে ভরার চেষ্টা করেছেন। নির্বাচনী প্রচারে যেমন নারী বিরোধী তকমা দিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন তেমনই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা বাড়িয়েছেন। পাশাপাশি নারী ক্ষমতায়ন নিয়েও একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার ফলও মিলেছিল হাতেনাতে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের দখলে ছিল ২২টি আসন। ২০২৪ সালে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯টি আসন। সেকারণে মতুয়া ঘাঁটি বাগদায় এবারে মধুপর্ণা ঠাকুরকেই দাঁড় করিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনটাই ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
বিধানসভা উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণের পর জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন মধুপর্ণা ঠাকুর। শনিবার EVM খুলতেই দেখা গিয়েছে একের পর এক রাউন্ডে এগিয়ে গিয়েছেন তিনি। সম্পূর্ণ ফলাফল প্রকাশ হতেই ছবি স্পষ্ট হতে শুরু করে। ৩৩হাজার ৬৬৪ ভোটে জয়লাভ করেন তিনি। এরফলে ১৩ বছর পর বাগদায় ক্ষমতায় এল তৃণমূল কংগ্রেস।
ঠাকুরনগরের পিআর ঠাকুর গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতক মধুপর্ণা । বর্তমানে মাস্টার্স করছেন মধুপর্ণা । অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সহ-সংঘাধিপতিও তিনি ।