একদিকে নিম্নচাপ তার উপর রবিবার। আর সেই কারণে পর্যটকদের ঢল নেমেছে দিঘায়। শুধু দিঘা নয়, মন্দারমণি, শঙ্করপুরেও চিত্রটা অনেকটা একই। অধিকাংশ হোটেলেই ঘর পুরোপুরি বুকিং। রবিবার বিকাল থেকে ভিড় আরও কিছুটা বাড়ার আশঙ্কা করছেন দিঘার হোটেল ব্যবসায়ীরা।
শনিবার অনেক সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ ছিল। তারপর আজ রবিবার। আবার সোমবারের পর মঙ্গলবার বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে অনেক অফিস বন্ধ থাকবে। ফলে সোমবার অতিরিক্ত একটা ছুটি নিয়ে লং উইকেন্ডে বেরিয়ে পড়েছেন বাঙালিরা।
একদিকে যেমন লং উইকেন্ড তেমনই ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে মন্দারমণি ও শঙ্করপুরেও ছবিটা একই। ছোটো বড় প্রায় সব হোটেলেই কোনও ঘর খালি নেই। হোটেল ব্যবসায়ীদের অনেকেই জানিয়েছেন, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে দিঘা, মন্দারমণি-র হোটেলগুলিতে পুরোদমে পুজোর বুকিং শুরু হয়ে যাবে। তখন তিল ধারণের জায়গা থাকবে না।
হোটেল ব্যবসায়ীদের অনেকে জানিয়েছেন, বর্তমানে কাজের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই উইকেন্ড বা ছোটো ট্রিপ বেশি পছন্দ করছেন। ঘোরাঘুরির থেকেও প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানো এবং খাওয়া-দাওয়া করতেই বেশি আগ্রহী তাঁরা। আর সেই কারণে দিঘা, মন্দারমণির মতো কাছের সমুদ্র সৈকতে ভিড় বাড়ছে।
নিউ দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা অশোক চন্দ একটি বাংলা সংবাদমাধ্যমে জানান, প্রতি বছরই পুজোর সময় দিঘায় পর্যটকদের ভিড় নামে। চলতি বছরেও পুজোর মরসুমে বুকিংয়ে ভাল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে বুকিং আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানানো হয়েছে।
ভিড় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নজরদারিও জোরদার করা হয়েছে। রাত হলেই মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে উইনার্স টিম টহল দিচ্ছে। পাশাপাশি একাধিক জায়গায় ক্যাম্প এবং সাদা পোশাকের পুলিশ রাখা হয়েছে। এমনকি, পুলিশের শীর্ষ কর্তারাও সারপ্রাইজ ভিজিট করছেন নিয়মিত।