পুজোর পাঁচদিনের জন্য এক বছর ধরে অপেক্ষায় থাকে বাঙালি । কত দিনের প্ল্যানিং, কত কিছু জড়িয়ে যায় একটা পুজোর সঙ্গে । পুজো আসবে আসবে...এই অনুভূতিটাই ভাল । পুজো চলে এলেই যে ৫ দিনের আনন্দ যেন মুহূর্তেই ফুরিয়ে যায় । পুজো শেষ হলেই আবার সেই পুরনো রুটিনে ফেরা । সোমবার থেকে আবারও ছুটছে কলকাতা পুরনো ছন্দে । তার আগের রাতে বিজয়া দশমী পালনে মেতেছে বাঙালি । প্রতিমা বরণ, সিঁদুরখেলা, মিষ্টিমুখ...এটাও তো উৎসবের অঙ্গ । তাই সব কাজ ভুলে বিজয়া দশমী পালন করেছেন রাজনীতিবিদরাও ।
রবিবার সকলে আরবানাতে সিঁদুর খেলতে দেখা গিয়েছে সাংসদ-অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে । লাল শাড়ি পরেছিলেন রচনা । সঙ্গে মানানসই গয়না । সিঁদুরে রাঙা মুখ । সকলকে জানালেন শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা । বললেন, আসছে বছর আবার হবে ।
সিঁদুর খেলেছেন সাংসদ-অভিনেত্রী সায়নী ঘোষও । হাজরা পার্ক দুর্গাপুজো মণ্ডপে গিয়েছিলেন সায়নী । সেখানেই দেবীকে বরণ করেন । সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সায়নী জানান, মা চেয়েছেন বলেই সাংসদ হয়েছেন । মা যতদিন চাইবেন, ততদিন পর্যন্ত মানুষের জন্য কাজ করে যাবেন । বরণের জন্য হাজরা পার্ক দুর্গাৎসবকেই বেছে নেন প্রত্যেক বার । এবারও তার অন্যথা হয়নি ।
অন্যদিকে, রাজ্যে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়ে সায়নী বলেন, 'অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে । কিন্তু সাধারণ মানুষ তাতে সাড়া দিচ্ছেন না । আমি মায়ের কাছে প্রার্থনা করতে পারি, যাঁরা অস্থিরতা তৈরি করছেন, তাঁদের অনুরোধ করতে পারি যে, শান্ত বাংলাকে শান্ত থাকতে দিন'
দেবীবরণ করেন জুন মালিয়াও । হলুদ ও লাল পাড়ের শাড়িতে সেজেছিলেন সাংসদ-অভিনেত্রী । অন্যদিকে, সিঁদুর খেলায় মাতেন রত্না চট্টোপাধ্যায়ও ।
কোনও পঞ্জিকা বলছে আজ রবিবার একাদশী, আবার কোনও পঞ্জিকা বলছে, আজ দশমী । অধিকাংশ বাড়ির পুজোয় শনিবার প্রতিমা বিসর্জন হলেও বাংলার বেশ কিছু বনেদি পরিবারে মা দুর্গার বিসর্জন হয়েছে রবিবারই । পাড়ার পুজো মণ্ডপগুলিতেও প্রতিমা নিরঞ্জন রবিবারই । আবার বেশ কয়েকটি পুজো মণ্ডপ সোমবারও প্রতিমা নিরঞ্জন চলবে । ১৫ অক্টোবর রয়েছে দুর্গাপুজো কার্নিভ্যাল । ওইদিন সব মণ্ডপের প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে । ১৬ অক্টোবরই আবার লক্ষ্মীপুজো ।