আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল। পূর্বাভাসও ছিল আবহাওয়া দফতরের। সেই আশঙ্কা ও পূর্বাভাসকে সত্যি প্রমাণ করল চলতি বছরের দুর্গাপুজোর আবহাওয়া। পুজোটা কেটে গেল বৃষ্টিতেই। পঞ্চমী থেকে যা শুরু হয়েছিল। বিক্ষিপ্তভাবে চলল দশমী পর্যন্ত। দক্ষিণের বিভিন্ন জেলায় মাঝেমাঝেই হানা দিয়ে গেল বর্ষাসুর। যদিও, তাতে রাস্তায় এবং প্যান্ডেলে-প্যান্ডেলে মানুষের ঢলকে আটকানো যায়নি একটুও।
এর নেপথ্যের ভিলেনের নাম 'নোরু'। যা, দিন দশেক আগে সুপার টাইফুনের চেহারা নিয়ে আছড়ে পড়েছিল ফিলিপিন্সে। এই ‘নোরু’র অবশিষ্টাংশ থেকেই বঙ্গোপসাগরে নতুন ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয়।
এ বার পুজোর নির্ঘণ্টও ছিল আগে। একেবারে বর্ষার মধ্যে। বাংলায় ক্যালেন্ডার শরতের হলেও, আবহবিদদের ক্যালেন্ডারে কলকাতায় বর্ষা থাকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত। বহু সময় সেই তারিখ পেরিয়েও থেকে যায় মৌসুমি বাতাস। সবটাই নির্ভর করে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপ সৃষ্টির উপর। অন্যদিকে, অক্টোবর আবার ঘূর্ণিঝড় প্রবণ মাস।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া বদলাবে। কমবে বৃষ্টি। তবে, কলকাতা এবং কলকাতার সংলগ্ন এলাকায় দশমীর সারাদিন ধরেই কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।