চলন্ত ট্রেনে তরুণীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ (Allegation Of Molestation)। অভিযুক্ত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ান। তাঁর অভিযোগ, সোমবার রাত ১২টা নাগাদ দুর্গাপুর স্টেশনে (Durgapur) নামছিলেন তিনি। সেই সময় প্রায় বিনা পোশাকে থাকা এক জওয়ান তাঁকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করে। অভিযোগ মত্ত ছিল ওই জওয়ান। চিৎকার করে ওঠেন ওই তরুণী। তখন ওই জওয়ান বাথরুমে লোকানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। ট্রেন স্টেশনে পৌঁছলে রেলপুলিশ সহ অন্য আধিকারিকরা এসে অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন।
রাতেই অন্ডাল জিআরপি থানায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন তরুণী। এরপরই ওই জওয়ানকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার গোটা ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে লম্বা পোস্ট করেন ওই তরুণী। এফআইআরের কপি ও অভিযুক্তের শার্টহীন ছবি পোস্ট করেন তিনি। ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে গ্রেফতারের দাবি নিয়ে রাজভবনে তৃণমূল প্রতিনিধি দল
অভিযোগকারিনী দুর্গাপুরের বাসিন্দা। কলকাতায় ব্যবসা আছে তাঁকে। সোমবার রাত ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ হাওড়া থেকে কালকা মেলে ওঠেন তিনি। তরুণীর অভিযোগ, "ট্রেনে উঠে দেখি, কামরায় পুরো ব্যাটেলিয়ান বসে আছে। ওই লোকটি শার্ট ছাড়া অন্তর্বাস পরে ট্রেনের কামরায় ছিল। ওরা মত্ত ছিল। এই নিয়ে অন্য যাত্রীরাও প্রতিবাদ করেন। দুর্গাপুর স্টেশনে নামার আগে কামরার গেটে গিয়ে দাঁড়াই। সেই সময় আচমকাই পিছন থেকে এসে আমাকে জাপ্টে ধরে লোকটি। আমার চিৎকার শুনে ট্রেনের টিটির সঙ্গে লোকজন ছুটে আসেন।" তরুণীর অভিযোগ বাথরুমে গিয়ে দরজা আটকানোর চেষ্টা করছিল ওই অভিযুক্ত। ততক্ষণে স্টেশন চলে আসায় ধরা পড়ে অভিযুক্ত।
জানা গিয়েছে, সশস্ত্র সীমা বল ৬ ব্যাটেলিয়ানের জওয়ান ওই অভিযুক্ত। অভিযুক্ত জওয়ানের নাম ধীরেন্দ্রকুমার মিশ্র। মঙ্গলবার আসানসোলের সিজেএম আদালতে তোলা হয় তাঁকে। সেখানে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দেওয়া হয় তাঁকে।