দীপান্বিতা অমাবস্যায় সারা বাংলা জুড়ে ধুমধাম করে হয় কালীপুজো। প্রাচীন নানা লোককথা জুড়ে রয়েছে এই কালীপুজো ঘিরে। মন্তেশ্বর ব্লকের পূর্ব খরমপুরে ভুসো কালীর পুজো ৫০০ বছরের প্রাচীন। সারা গ্রামে এই একটিই মাত্র প্রতিমা পূজিত হন, তিনি ভুসো কালী। আর কোনও পুজোয় প্রতিমা আনা হয় না।
প্রতিমার রঙ হিসেবে ব্যবহার করা হয় ভুসো কালি। পুজোর দিন আমাবস্যা পড়লে তিনটি বড় বড় প্রদীপে তেল ঢালা হয় , প্রদীপের মাথায় রাখা হয় বড়ো সরা ওই প্রদীপের ভুসো সরায় পড়ার পর ভুসো সংগ্রহ করে রঙ করা হয় প্রতিমার। তাই এই প্রতিমার নাম ভুসো কালী।
শোনা যায়, পূর্ব পুরুষদের প্রথা মেনে আজও এই গ্রামে দোতলা বাড়ি তোলা হয় না, নেই ছাদে ওঠার কোনও সিঁড়ি। ঠাকুরের উচ্চতা ছাপিয়ে কিছু করা যাবে না। বর্তমানে ঠাকুরের উচ্চতা ২০ ফুট। এই পুজো গ্রামের সবার কাছে বিরাট উৎসব।