প্রথমে একা। তারপর তাঁর মুখোমুখি পরিবার ঘনিষ্ঠ সায়গল হোসেন। টানা আট ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে এরপরেও নাকি কার্যত নিরুত্তর অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। দিল্লি থেকে ইডি সূত্রে খবর, একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি পেশায় শিক্ষিকা সুকন্যা। মূলত এদিনের জিজ্ঞাসাবাদে সুকন্যার সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি। এক, কী ভাবে তাঁর অ্য়াকাউন্টে বিপুল অর্থ এল ? দুই, তাঁর নামে এত জমির টাকাই বা হল কী ভাবে ? ম্য়ারাথন জেরায় নাকি কার্যত চুপ করেই ছিলেন অনুব্রত-কন্যা। বুধবার সুকন্য়া হাজিরা দিলেও, ইডির দফতরে যাননি অনুব্রত ঘনিষ্ঠ অ্য়াকাউন্টেট মণীশ কোঠারি। এদিকে, বৃহস্পতিবার অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ আর এক ব্যবসায়ীকে ডেকেছে সিবিআই। তাঁর নাম রাজীব ভট্টাচার্য।
প্রথমবার গত ২৭ অক্টোবর ইডিকে এড়িয়েছিলেন অনুব্রত-কন্যা। দাবি করেছিলেন বান্ধবীর চিকিৎসা করাতে তিনি রাজ্য়ের বাইরে আছেন। ওইদিন রাতেই তাঁকে ফের ২ নভেম্বর তলব করা হয়েছিল। বুধবার সকালেই ইডির দফতরে হাজিরা দেন সুকন্য়া মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআই জালে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর ঘনিষ্ঠ দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে ইতিমধ্যেই নিজেদের হেফাজতে দিল্লি নিয়ে গিয়েছে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির সন্দেহ, গরুপাচারের যাবতীয় টাকা অনুব্রতর কাছে আসত সায়গলের সৌজন্যেই।
ইতিমধ্য়েই এই তদন্ত মামলায় আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। তাতে সুকন্য়া মণ্ডলের সম্পত্তি বৃদ্ধির কথাও উল্লেখ আছে। আজ থেকে সাত-আট বছর আগেও সুকন্যার সম্পত্তি ছিল তিন লক্ষ টাকার কিছু বেশি। কিন্তু গত অর্থ বছরে তার বহর হয়েছে ৪৫ লক্ষ টাকা। সঙ্গে আছে তিন কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট। যা নিজেদের চার্জশিটে উল্লেখ করেছে সিবিআই।