শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে শনিবার সকালে শহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। এবার ১৮, ডাক্তার কার্তিক বোস লেনের একটি ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে সেটি সিল করে দিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ফ্ল্যাটটির মালিক বিভাস অধিকারী। ইডি সূত্রে খবর, তিনি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ফ্ল্যাটে অনেক অজ্ঞাতপরিচয় লোকজন আসতেন।অধিকাংশ লোকজন রাতের দিকেই আসতেন বলে খবর স্থানীয় সূত্রে। প্রতিবেশী রাধা মোদকের দাবি, বিভাস অধিকারী আসলে, তাঁর হাতে বড় বড় ব্যাগ থাকত। সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীরাও থাকত বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইডির আধিকারিকদের দাবি, বিভাস একটি বিএড কলেজ চালাতেন। সেখানে পড়ুয়াদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হত। মোটা টাকাও নিতেন তিনি। কার্তিক বোস লেনের ফ্যাটটির বাইরেও একটি বোর্ড লাগানো আছে। 'বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশন' লেখা সেই বোর্ডে। ইডির তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, এই প্রতিষ্ঠানের মালিক বিভাস। ওই সংস্থার রেজিস্টার্ড নম্বর ও ঠিকানা দেওয়া আছে। এপিসি রোডে, আইডিয়াল হাইট ব্লক। এখানেও হানা দেন ইডির গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: সাপেরও আবার আদালতের নিরাপত্তা ! অবাক কাণ্ড বিহারে
ইডির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বিভাস অধিকারীর। অর্থের বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের সাহায্য করতেন তিনি। শনিবার সকালেই মহিষবাথানের একটি ট্রেনিং সেন্টারেও হানা দেন ইডি গোয়েন্দারা। শ্রীগোপাল মল্লিক লেনের একটি বাড়িতেও হানা দেন। মালিক শৈবাল ভট্টাচার্য জানান, ওই বাড়ির একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন তাপস মণ্ডল। ১৯৯২ সালে মিনার্ভা এডুকেশনাল অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামে একটি কোচিং চালাতেন। পরে একটি ঝামেলায় সেই বাড়ি থেকে উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বারাসতে তাপস মণ্ডলের বাড়িতেও হানা দেয় ইডি। বারাসতের আর এক বাসিন্দা চন্দন মাইতির বাড়িতেও হানা দেন গোয়েন্দারা। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রত্যক্ষ যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।